|
|
|
|
ঘাটালের জল-ছবি বদলাতে বরাদ্দ, রাস্তা সংস্কারে ৯ কোটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
চির-পরিচিত জলমগ্ন ঘাটালের ছবিটা পাল্টাতে বেশ কয়েকটি নতুন প্রকল্প নিল ঘাটাল পুরসভা। যার মধ্যে শহরের রাস্তা থেকে নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কারের মতো বিষয়গুলি রয়েছে। শহরের বন্যা কবলিত ১২টি ওয়ার্ডের রাস্তা পাকা করা, নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘাটাল পুরসভার পুরপ্রধান বিভাস ঘোষ বলেন, “বন্যায় ঘাটালে রাস্তাগুলির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই শহরের প্রধান মোরাম রাস্তাগুলি পাকা করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে প্রকল্প তৈরি করে পাঠানো হয়েছিল। সোমবার পুরমন্ত্রী ববি হাকিমের কাছে দেখা করলে মন্ত্রী নিজেই অর্থ বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন।”
পুরসভা সূত্রে খবর, বিগত বন্যায় ঘাটাল শহরের বারোটি ওয়ার্ডের একাধিক পাকা রাস্তার অবস্থা বেহাল। মোরাম রাস্তাগুলিও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। শুধু এবারের বন্যায় নয়, প্রতিবারই বর্ষার পর ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত করতে অনেক অর্থ ব্যয় হয়। সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে এবার শহরের প্রধান মোরাম রাস্তাগুলি পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। শহরের নিকাশি সমস্যা সমাধানেরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই সংক্রান্ত প্রকল্প রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়। প্রকল্পের অনুমোদনও মিলেছে। বিভাসবাবু বলেন, “নতুন বছরের শুরুতেই কাজ শুরু করে দেব। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে শহরের কোনও প্রধান রাস্তা আর মোরামের থাকবে না। তাছাড়া ঘাটালবাসীরা প্রায় চার দশকের বেশি সময় ধরে চলা নিকাশি সমস্যার হাত থেকেও রেহাই পাবেন।” তিনি আরও জানান, “শহরের নিকাশি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সবিস্তার প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরির কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় অর্থও পাওয়া যাবে বলে মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন।”
পুরসভার বাস্তুকার শুভাশিস মণ্ডল বলেন, “বরাদ্দ অর্থের মধ্যে ৯ কোটি টাকা রাস্তা এবং ৩ কোটি টাকা কালভার্ট সংস্কারের জন্য ব্যয় করা হবে। বাকি টাকা প্রাথমিক ভাবে নিকাশির জন্য খরচ করা হবে বলে ঠিক হয়েছে।” তিনি জানান, শহরে নিকাশির সমস্যা দীর্ঘ দিনের। সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য আমরা পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। দফতরের বাস্তুকাররা জানুয়ারিতেই ডিপিআর তৈরির কাজ শুরু করবে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ আর্থিক সহযোগিতায় ওই কাজ হবে বলে পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন।” এ ব্যাপারে ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই বলেন, “নতুন বছরেই ডিপিআর তৈরি হয়ে যাতে জমা পড়ে যায় সে জন্য পুরমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছি। মন্ত্রী প্রয়োজনীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।” |
|
|
|
|
|