|
|
|
|
টুকরো খবর |
ফের কেশপুর ব্লকে তৃণমূলের সভাপতি বদল
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গত আড়াই বছরে চার-চার বার ব্লক সভাপতি বদল হল কেশপুরে। ঘটনায় দলের অন্দরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার কেশপুরের নতুন ব্লক সভাপতি হিসেবে সঞ্জয় পান-এর নাম ঘোষণা করেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ব্লকের কার্যকরী সভাপতি পদেও রদবদল হয়েছে। নতুন কার্যকরী সভাপতি হয়েছেন সানোয়ার আলি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “রাজ্য নেতৃত্বের অনুমতিক্রমেই এই রদবদল।” কেন ঘনঘন ব্লক সভাপতি বদল? তাও আবার কেশপুরের মতো এলাকায়? প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোত্ ঘোষের মন্তব্য, “এটা সাংগঠনিক ব্যাপার।” এই নিয়ে অবশ্য টিপ্পনি দিতে ছাড়ছে না সিপিএম। কেশপুরের সিপিএম বিধায়ক রামেশ্বর দোলুইয়ের কথায়, “কে ওদের সভাপতি হল, তা নিয়ে জনগণের মাথাব্যাথা নেই। জনগণের মাথাব্যাথা অস্থিরতা নিয়ে। মানুষ শান্তি চান।” তৃণমূলের কেশপুর ব্লক কার্যকরী সভাপতি ছিলেন মহিউদ্দিন আহমেদ। মহিউদ্দিনবাবু পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদ আসনে জেতেন। জেলা পরিষদের সদস্য হন। ফলে, তাঁর সরে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল। কিন্তু, পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক তপনবাবুকে কেন সরানো হল? দলের ওই সূত্র জানিয়েছে, সরানো হয়নি। তিনি নিজেই অব্যাহতি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেন। রাজ্য নেতৃত্ব ওই অব্যাহতিপত্রই পদত্যাগপত্র হিসেবে গ্রহণ করেছেন। এরপর দলের অন্দরে আলোচনার প্রেক্ষিতে ঠিক করেন, নতুন ব্লক সভাপতি হবেন সঞ্জন পান। সেই মতো রাজ্য নেতৃত্বের অনুমতিক্রমে মঙ্গলবার নতুন ব্লক সভাপতি এবং ব্লক কার্যকরী সভাপতির নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেন দলের জেলা নেতৃত্ব। মঙ্গলবার তপনবাবু বলেন, “আমি ছুটি চেয়েছিলাম। কতগুলো ব্যাপার রয়েছে। এ নিয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে চাই না।” দলীয় সূত্রে খবর, পদত্যাগী সভাপতি তৃণমূলের জেলা কমিটিতে থাকবেন।
পুরনো খবর: ব্লক সভাপতি বদলাতেই বিক্ষোভ-সংঘর্ষ কেশপুরে
|
ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার বার্তা শুভেন্দুর
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
বণিক সম্মেলনের মঞ্চকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার না করার আর্জি জানালেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার খড়্গপুরে বণিকসভার পঞ্চম বার্ষিক সম্মেলনে এসে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শুভেন্দু বলেন, “দেশের অগ্রগতিতে ব্যবসায়ীরা একটা বড় ভূমিকা পালন করেন। তাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে কৃষক, ব্যবসায়ী, শ্রমিকদের জন্য ভাবতে হবে। ভারতে প্রায় ৪ কোটি খুচরো ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাঁরা বিভিন্ন বিপনিতে কয়েক লক্ষ যুবকের কাজের ব্যবস্থা করেছেন, যা এই সমাজের অন্য কেউ করেননি।” শুভেন্দু আরও বলেন, “খড়্গপুরে রেলের এক শ্রেণির আধিকারিকদের দাদাগিরিতে ব্যবসায়ীরা ব্যতিব্যস্ত। যে পরিকাঠামো ব্যবসায়ীদের পাওয়া উচিত ছিল, তা তাঁরা পাচ্ছেন না। এই শহরে অধিকাংশ এলাকা রেলের। তাই রেল, মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদ, শিল্প উন্নয়ন নিগম ও পুরসভার সম্মিলিতভাবে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।” ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, “বিগত দিনে জঙ্গলের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি জেলাকে গ্রাস করতে চেয়েছিল। তার প্রভাব ব্যবসায়ীদের ওপর পড়েছে। রাজ্যের বর্তমান সরকারের সময়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তাই রেলশেহরে ব্যবসায়ীদের থেকে তোলা আদায় ও খুনের বিরুদ্ধে সঙ্ঘবদ্ধ হতে হবে।”
|
শতবর্ষ পূর্তি
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
বছরের শেষ দিনে নানা আড়ম্বরে বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উত্সব পালিত হল সবংয়ের চাউলকুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের খড়িকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মঙ্গলবার সকালে একটি ট্যাবলো সহযোগে এলাকায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। এ দিন সর্বশিক্ষা মিশনের অর্থে একটি শ্রেণিকক্ষেরও দ্বারোদঘাটন করেন জেলা পরিষদের বিদ্যুত্ কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কালিপদ ভঞ্জ, চাউলকুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সদ্দিক মীর, প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন নায়েক। |
|
|
|
|
|