|
|
|
|
আজ থেকে বাড়ছে শিশু উদ্যানের প্রবেশ মূল্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দ্বিগুণ হচ্ছে অরবিন্দ শিশু উদ্যানের প্রবেশ মূল্য। আজ, ১ জানুয়ারি থেকেই এই বর্ধিত মূল্য কার্যকর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। কেন এই সিদ্ধান্ত? শ্রী অরবিন্দ চিলড্রেন্স পার্ক নামান্তরে জু সোসাইটির সুপারভাইজার সুব্রত সরকার বলেন, “টিকিটের দামে পার্ক রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব হচ্ছিল না। তাই বাধ্য হয়েই টিকিটের দাম বাড়ানো হয়েছে।”
মেদিনীপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত অরবিন্দ শিশু উদ্যান। সেখানে শহরের প্রতিটি এলাকা থেকেই শিশুদের নিয়ে বাবা-মায়েরা বেড়াতে আসেন। আর সেখানেই এক ধাক্কায় টিকিটের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। একাংশ এই সিদ্ধান্তে হতাশ। অন্য শ্রেণি তা মেনে নিলেও তাঁদের দাবি রয়েছে বেশ কিছু। তাঁদের প্রশ্ন, পশুপাখির সংখ্যা না বাড়িয়ে কেন দাম বাড়ানো হচ্ছে। অপেক্ষাকৃত গরিব মানুষ হতাশ এই কারণে যে, বাবা, মা ও ছেলে তিনজনে এক সঙ্গে পার্কে ঢুকলে টিকিটের দাম পড়বে ২০ টাকা। যা আগে ১০ টাকাতেই হয়ে যেত। |
|
অরবিন্দ শিশু উদ্যানে কচিকাঁচাদের ভিড়। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
তবে দাম বাড়ানোর পরও উদ্যানের উন্নয়ন কতটা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তা স্বীকারও করছেন মেদিনীপুর সদরের মহকুমাশাসক তথা উদ্যান কমিটির সম্পাদক অমিতাভ দত্ত। তাঁর প্রস্তাব, “জেলা পরিষদ, মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদ, পুরসভা বা বিধায়কেরা যদি উদ্যোগী হয়ে সহযোগিতা করেন তা হলে ভাল হত।” মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা পর্ষদের চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতির কথায়, “আমাদের কাছে সাহায্য চাইলে নিশ্চয় এ ব্যাপারে খতিয়ে দেখব।”
শিশু উদ্যানটি অবশ্য বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি। একটি সোসাইটি তা চালায়। ওই সোসাইটির সভাপতি জেলাশাসক ও সম্পাদক মহকুমাশাসক। কী রয়েছে এই উদ্যানে? ছোটদের খেলার জন্য দোলনা, স্লিপ। বসার জন্য কিছু চেয়ার। আর রয়েছে কয়েক’টি সাদা ইঁদুর, ২টি হনুমান, পায়রা, বদ্রি পাখি, টিয়া এবং হাঁস। শীতে ফুলের বাগান করা হয়। রয়েছে একটি অ্যাকোরিয়াম। ব্যাস। স্থানীয় কবিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “পার্ক তো ১০ মিনিট ঘুরলেই শেষ। কিছু উন্নতি করে টিকিটের দাম বাড়ালে ভাল হত।” |
|
|
|
|
|