|
|
|
|
জেলায় আরও ২৮৮টি স্কুল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পশ্চিম মেদিনীপুরে নতুন ১০৯টি প্রাথমিক স্কুল এবং ১৭৯টি উচ্চ প্রাথমিক স্কুল চালু হতে চলেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে রাজ্যের কাছে প্রয়োজনীয় অনুমতি চাওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই নতুন স্কুলগুলোয় পঠনপাঠন শুরু হবে। আপাতত, পঠনপাঠন চলবে আশপাশের কোনও স্কুল ক্যাম্পাসে। পরবর্তীকালে নতুন স্কুলঘর তৈরি হবে। রাজ্যে সব মিলিয়ে নতুন ৪২৭টি প্রাথমিক স্কুল চালু হওয়ার কথা। তার মধ্যে শুধুমাত্র লালগড়ের জেলাতেই ১০৯টি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান স্বপন মুর্মু বলেন, “নতুন স্কুলগুলোয় আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে পঠনপাঠন শুরু করার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে জমির খোঁজও শুরু হয়েছে। কয়েকটি স্কুলঘর সরকারি জমিতে তৈরি হবে। বেশ কয়েকটি স্কুলঘর দানের জমিতে তৈরি হবে। এ সব ক্ষেত্রে স্কুল গড়ার জন্য গ্রামবাসীরা জমি দান করেছেন।” নতুন স্কুল তৈরির ক্ষেত্রে অর্থ সাহায্য করবে সর্বশিক্ষা মিশন।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র বলেন, “জেলায় নতুন ১০৯টি প্রাথমিক স্কুল এবং ১৭৯টি উচ্চ প্রাথমিক স্কুল চালু হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে পঠনপাঠন শুরু করার চেষ্টা চলছে। এর ফলে প্রত্যন্ত গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবে।”
এখন পশ্চিম মেদিনীপুরে ৪ হাজার ৬৮২টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। নতুন স্কুলগুলো চালু হলে সংখ্যা বেড়ে হবে ৪ হাজার ৭৯১। সাধারণত, এক কিলোমিটার ছাড়া একটি করে প্রাথমিক স্কুল থাকার কথা। কিন্তু, তা নেই। জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলো ঠিক কী পরিস্থিতিতে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে এক সময়ে সমীক্ষাও করে সংসদ। সেই সমীক্ষাতেও ওই বৈষ্যমের ছবি উঠে আসে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এক কর্তার মন্তব্য, “সমস্যা আছে বলে আমরা জানতাম। তবে, সমস্যা যে কত গভীরে পৌঁছেছে, তা সমীক্ষা না-হলে আমাদের অজানাই থেকে যেত।” পশ্চিম মেদিনীপুরে স্থায়ী প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ১৪ হাজার ৭৩২ জন। পার্শ্বশিক্ষক রয়েছেন ১ হাজার ৪০৩ জন। অর্থাত্, শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা সব মিলিয়ে ১৬ হাজার ১৩৫। অন্যদিকে, ৪ হাজার ৬৮২ টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। আর ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা সব মিলিয়ে সাড়ে ৩ লক্ষের কিছু বেশি। আগে স্কুলে ৪০ জন ছাত্রপিছু ১ জন করে শিক্ষক থাকার কথা ছিল। এখন সেখানে ৩০ জন ছাত্রপিছু ১ জন করে শিক্ষক থাকার কথা। পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, লালগড়ের জেলায় শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি রয়েছে। তা-ও প্রত্যন্ত গ্রামের অনেক স্কুলই এক শিক্ষকের। ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতে সামঞ্জস্য আনতে সম্প্রতি কিছু পদক্ষেপ করেছে সংসদ। যেমন, বেশি সংখ্যক শিক্ষক রয়েছে, এমন স্কুলের এক বা একাধিক শিক্ষককে আশপাশের স্কুলে গিয়ে পড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এক কর্তা মানছেন, “একটি স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৪০, আর শিক্ষক ৪ জন, পাশের একটি স্কুলে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১৫০, আর শিক্ষক ২ জন, এ তো হতে পারে না।” |
|
|
|
|
|