গোঘাটের কাঁঠালি গ্রাম-সংলগ্ন রাস্তার গায়ে পচাখালি নামক একটি জায়গায় শ্মশান ভূমি দখল করে বাড়ি এবং ব্যবসা করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। রাজু সাঁতরা নামে ওই নেতার বিরুদ্ধে স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় রুইদাস পাড়ার কিছু বাসিন্দা। একই সঙ্গে ‘শ্মশান ভূমি রক্ষা কমিটি’ গঠন করে আন্দোলনও শুরু করেছেন তাঁরা।
ওই বাসিন্দাদের বক্তব্য, “চোদ্দ পুরুষ ধরে আমাদের মুচি সম্প্রদায়ের দাহকার্য এখানে হয়ে আসছে।” কমিটির সম্পাদক রবিন রুইদাস বলেন, “রাজু অনেকটা জায়গা দখল করেই ফেলেছে। তার উপরে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা হুমকি দিয়ে বলছে, আমাদের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।”
ঘটনার কথা স্বীকার করে গোঘাটের তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন পাল বলেন, “রাজুর অন্যায় আমরা সমর্থন করছি না। তবে জায়গাটি শ্মশানের জন্য যতটা প্রয়োজন ততটা রেখে বাকিটা সরকারি প্রয়োজনে যাতে ব্যবহার করা যায়, সেই চেষ্টা আমরা করছি।”
গোঘাট ১ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুইদাস পাড়ার মানুষ যে জায়গাটি শ্মশান হিসাবে ব্যবহার করছেন, তা ১৬ শতক এলাকা নিয়ে (দাগ নম্বর ৪২৫)। সেই জায়গার কিছুটা দখলেও আছে। রাজু সাঁতরার জমি তার গায়েই (দাগ নম্বর ৪২৬)। রুইদাস পাড়ার মানুষের অভিযোগ, রাজু প্রায় ৩ কাঠা শ্মশান ভূমির জায়গা দখল করে নিয়েছে। ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ বলেন, “আমরা তদন্ত করেছি। নির্মীয়মাণ বাড়িটি শ্মশানভূমি দখল না করলেও কোনও ছাড় না রেখেই নির্মাণ হয়েছে। তবে তিনি ব্যবসার জন্য জায়টার কিছুটা ব্যবহার করছেন। আমরা জায়গা ফাঁকা করতে বলেছি।”
রাজুবাবুর বক্তব্য, “আমি কোনও ছাড় না রেখে বাড়ি করার জন্য সকলের কাছে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছি। প্রায় ৬ ফুটের উপরে গাঁথনি হয়ে গিয়েছে। যাতে তা ভাঙতে না হয়, সে বিষয়ে রুইদাস পাড়ার মানুষের কাছে আবেদন করেছি। তাঁরা সাড়া দেননি।” রাজুর দাবি, ব্যবসার জন্য শ্মশানের যে জায়গাটা ব্যবহার করছিলেন, তা ক্রমশ সরিয়ে নিচ্ছেন।
যুব উৎসব। উলুবেড়িয়া ১ ব্লক যুব কল্যাণ বিভাগের উদ্যোগে যুব উৎসব হয়ে গেল বীরশিবপুর শিক্ষানিকেতন হাইস্কুলে। এই উপলক্ষে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। |