টুকরো খবর |
বন্দুক-কারখানা ভাঙল পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর
৩১ ডিসেম্বর |
দেশি বন্দুক তৈরির একটি কারখানা গুঁড়িয়ে দিল কাছাড় পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিস্ফোরক-সহ বন্দুক তৈরির সামগ্রী। পাঁচ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। কাছাড়ের দুই অতিরিক্ত এসপি বৈভব নিম্বলকর ও ধ্রুব বরা জানান, “ধৃত সুগেন ওরাং, ওয়ানলিয়াস খাসি ও ফসবেন খাসি বন্দুক বিক্রির এক বড়সড় চক্রের চাঁই। উপত্যকার বহু জায়গায় তারা দেশি বন্দুক সরবরাহ করত। বিশেষ করে ডাকাত ও অপহরণকারীরা তাদের কাছ থেকে বন্দুক নিয়েই এই অঞ্চলে নানা অপকর্মে লিপ্ত।” পুলিশকর্তারা বলেন, ওয়ানলিয়াস খাসির নামে বন্দুকের লাইসেন্স করতে গিয়েই বিপাকে পড়ে চক্রটি। বছর কুড়ির যুবকটির সঙ্গে কথা বলে লক্ষ্মীপুর মহকুমা পুলিশ অফিসার অঞ্জন পণ্ডিতের সন্দেহ হয়। শুরু হয় নানা ভাবে জেরা। জেরায় সে স্বীকার করে, কচুদরম থানার কৃষ্ণপুর খাসিয়া পুঞ্জিতে তাদের একটি দেশি বন্দুকের কারখানা রয়েছে। পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে কারখানা ভেঙে দেয়।
|
উদ্ধার অপহৃত ৭ নির্মাণ শ্রমিক
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি
৩১ ডিসেম্বর |
আট দিনের মাথায় দেওঘরের অপহৃত সাত শ্রমিককে ছেড়ে দিল মাওবাদীরা। গত কাল রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ বিহারের জামুইয়ের জঙ্গলে ওই শ্রমিকদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ২২ তারিখ রাতে দেওঘরের একটি নির্মাণস্থল থেকে সাত জন শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যায় মাওবাদীরা। বিহারের জামুই ও দেওঘরের পুলিশ যৌথভাবে ঘটনার তদন্ত করছে। শ্রমিকদের উদ্ধার করার পরে পুলিশ তাঁদের সঙ্গে কথা বলে মাওবাদীদের গতিবিধি জানার চেষ্টা করছে বলে দেওঘরের এসপি প্রভাতকুমার জানান।
পুরনো খবর: জসিডিতে অপহৃত সাত নির্মাণ শ্রমিক
|
তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার এক |
তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে লখিমপুরে। পুলিশ জানায়, পানি গাঁওয়ের বাসিন্দা ওই তরুণী গত কাল বিকেলে টেট পরীক্ষার ফর্ম জমা দিতে লখিমপুর শহরে আসেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁর পূর্ব পরিচিত সঞ্জয় খান নামে এক ব্যবসায়ী তাঁকে জোর করে কে বি রোডের একটি ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ওই ব্যক্তি ও তার বন্ধুরা মেয়েটির উপরে চড়াও হয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে। পরে ওই তরুণী অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। এসপি প্রশান্ত ভুঁইয়া জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টে জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। তিনি এখনও চিকিৎসাধীন।
|
রাস্তায় বিমান |
|
ছবি: পিটিআই। |
রানওয়ে ছেড়ে বিমান নামল জাতীয় সড়কে! মঙ্গলবার এমন ঘটনারই সাক্ষী হয়ে রইল ভোপাল। সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ বেতুল-নাগপুর জাতীয় সড়কে হঠাৎই অবতরণ করল চার আসনের একটি বেসরকারি বিমান। রাস্তায় নেমে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিমানটির মালিক, অনাবাসী ভারতীয় ব্যবসায়ী স্যাম বর্মা। বেতুলেই একটি টায়ার কারখানা রয়েছে তাঁর। কারখানা চত্বরেই অবতরণ করার কথা ছিল বিমানটির। স্যাম জানান, উল্টো দিক থেকে প্রচণ্ড জোরে বাতাস বইছিল তখন। তড়িঘড়ি জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হন চালক। অভিযোগ, তাঁর কারখানার পাশেই উঁচু পিলার তুলছেন সড়ক কর্তৃপক্ষ। তাতেই বাধা পাচ্ছে বায়ুপ্রবাহ। এর জেরেই বিঘ্নিত হচ্ছে বিমান চলাচল। পেল্লায় ওই বিমানটি দাঁড়িয়ে থাকায় ব্যস্ত জাতীয় সড়কে প্রায় ৩০ মিনিট বন্ধ থাকে যান চলাচল। স্যাম বর্মা পরিষ্কার জানিয়ে দেন, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা না করে কিছুতেই রাস্তা থেকে বিমান সরাবেন না তিনি। পরে পুলিশ এসে যানজট নিয়ন্ত্রণে আনে।
|
বরফে ঢাকল ভূস্বর্গ |
জম্মু-কাশ্মীরের রাস্তাগুলি ঢেকে গিয়েছে বরফের পুরু আস্তরণে। শুধু রাস্তাই নয়, সাদা চাদরে মুড়ি দিয়ে রয়েছে গুলমার্গ, পহলগাম, সোনমার্গের মতো কাশ্মীরের নানা এলাকার গাছ, বাড়ির ছাদ, ছোটদের খেলার পার্ক। বরফ পড়বে সেই আশাতেই এই মরসুমে কাশ্মীর বেড়াতে এসেছেন বহু পর্যটক। এ ভাবে স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় ভীষণ খুশি তাঁরাও। যেমন মুম্বই থেকে আসা মধু বললেন, “অসাধারণ দৃশ্য। আমি তো বলব সবার এখানে আসা উচিত। আমি কোনও দিনও চোখের সামনে তুষারপাত দেখিনি। এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মনে হচ্ছে যেন স্বর্গে এসেছি।” বহু পর্যটকই এই দৃশ্য বন্দি করে রাখছেন তাঁদের ক্যামেরায়।
|
মিলল ঘর |
ঘর পেলেন অনেকে। তবে এখনও অনেকে বেঘর। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠছিল মুজফ্ফরনগরের লোই ত্রাণ শিবিরে। তার জেরেই বেশ অস্বস্তিতে পড়েছিল অখিলেশ সরকার। একটি শিবির থেকে এক সঙ্গে ৪২০ জনকে তড়িঘড়ি নতুন ঘরে পাঠিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ থেকে নজর ঘোরানোর মরিয়া চেষ্টা চালাল বলেই মনে করছেন অনেকে। এখনও ওই শিবিরটিতে ৬৩ জন রয়ে গিয়েছেন। তাঁদেরও যত দ্রুত সম্ভব নতুন ঘরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক কুশল রাজ শর্মা। তাঁদের জন্য কোথায় এবং কী ধরনের ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সে ব্যাপারে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
|
ভোর পর্যন্ত |
দেড়টা নয়, ভোর পাঁচটা পর্যন্ত নববর্ষ উদ্যাপনের পার্টি করতে পারবেন মুম্বইবাসী। সারা রাত খোলা থাকবে বাণিজ্যনগরীর বার ও রেস্তোরাঁগুলি। মঙ্গলবার এই রায় দিল মুম্বই হাইকোর্ট। সম্প্রতি মূলত মহিলাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মুম্বই পুলিশ ঘোষণা করে বর্ষশেষের রাতে রাত দেড়টার পর বন্ধ করে দিতে হবে শহরের বার ও রেস্তোরাঁগুলি। |
|