|
|
|
|
সনিয়ার কাছে লালু প্রসাদ
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
৩১ ডিসেম্বর |
জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর পরই দিল্লি এসে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা ছিল। বুকে আচমকা ব্যথা শুরু হওয়ায় এইমসে ভর্তি হতে হয় লালু প্রসাদকে। পরে দু’দিনের মুজফ্ফরনগর সফর সেরে দেখা করলেন সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে।
কেন? দশ নম্বর জনপথ থেকে বেরিয়ে লালুর জবাব,“ ২০০৯ সালে ভুল করেছিলাম। কিন্তু এ বার আর সেই ভুল করতে চাইছি না। লোকসভা ভোটে একজোট হয়ে লড়বে কংগ্রেস, আর জে ডি এবং লোক জনশক্তি পার্টি।” লালু প্রসাদ এতটা স্পষ্ট করে বললেও কংগ্রেস মুখপাত্ররা বৈঠককে সৌজন্য সাক্ষাৎই বলছেন।
ঘরোয়া আলোচনায় কংগ্রেস নেতারা স্বীকার করেছেন লালু-সনিয়া বৈঠক ইতিবাচকই। লালুর সঙ্গে জোট করতে আগ্রহী বিহার কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেসের দাবি, এক সময়ে দলের বড় অংশের আপত্তি সত্ত্বেও লোকসভা ভোটে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট করতে আগ্রহী হন রাহুল গাঁধী। তাঁর জেদে লালুর সঙ্গে দেখাও করছিলেন না সনিয়া। কিন্তু এই বৈঠকের অর্থ ইতিবাচক। বিশেষ করে এই বৈঠক নিয়ে উৎসাহী বিহার কংগ্রেসের নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, একটা সময় এমন পরিস্থিতি হয়েছিল যে দলের বড় অংশের ইচ্ছা সত্ত্বেও লোকসভা ভোটে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট গড়ার দিকেই ঝুঁকে ছিলেন রাহুল গাঁধী। রাহুলের সেই জেদের জন্য লালু প্রসাদের সঙ্গে দেখা করছিলেন না সনিয়াও। কিন্তু এখন জেল ফেরত লালুর সঙ্গে সনিয়ার বৈঠকের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। ২০০৪ সালে লালু-কংগ্রেস জোটই বিহারে ৪০টি আসনের মধ্যে ২৯টি দখল করেছিল। এ বারও জোট গড়তে মরিয়া লালু ও বিহার কংগ্রেস। |
|
|
|
|
|