ভরদুপুরে সকলের চোখের সামনে এক বধূর গলায় ব্লেড চালিয়ে হার ছিনতাই করে পালাচ্ছিল এক দুষ্কৃতী। জখম অবস্থায় একাই সেই ছিনতাইবাজকে ধাওয়া করে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে যে সাহস দেখিয়েছেন ওই বধূ, তার জন্য তাঁকে পুরস্কার দেওয়ার ভাবনা চলছে। ঘটনার পরদিন, মঙ্গলবার এমনই খবর মিলল পুলিশের উপর মহল থেকে।
ঘটনাটি সোমবার দুপুরের। ট্যাক্সিতে বালিগঞ্জ থানা এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন হেস্টিংসের বাসিন্দা শামিনা আনসার। আশুতোষ চৌধুরী রোড ও গুরুসদয় দত্ত রোডের মোড়ে সিগন্যালে ট্যাক্সি দাঁড়াতেই তাঁর গলায় আচমকা একটা টান পড়ে। বুঝতে পারেন, হারটি ছিনতাই করে নিয়েছে কেউ। মুহূর্তের মধ্যে সম্বিৎ ফিরে পেয়েই ওই বধূ খেয়াল করেন, উল্টো দিকের একটি রাস্তার দিকে দৌড়োচ্ছে এক যুবক। ট্যাক্সি থেকে নেমে পড়ে ওই ছিনতাইবাজকে ধাওয়া করেন।
পরে এক যুবকের বাইকে চেপে অভিযুক্তের পিছু নেন ওই গৃহবধূ। শামিনা বলেন, “ছেলেটি পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে হামলাও করেছিল আমার উপরে।” তিনি জানান, অভিযুক্তের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া সোনার হারটি উদ্ধার হলেও খোঁজ মেলেনি হারের সঙ্গে থাকা হিরের লকেটের। পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় শেখ মুমতাজ নামে এক যুবককে ধরেছে বালিগঞ্জ থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে এ দিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হলে তার পুলিশ হেফাজত হয়।
তবে মঙ্গলবার নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শামিনা। তাঁর কথায়, “এতটা রাস্তায় কোনও পুলিশ দেখিনি। যদিও পরে পুলিশ সাহায্য করেছে।” কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসইডি) দেবব্রত দাস বলেন, “ওই এলাকায় টহলদারি পুলিশ থাকে। টহলদারি পুলিশ অন্যত্র নজরদারি করলেও খবর পেয়েই তাঁরা ঘটনাস্থলে যান।” মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “ওই মহিলাকে সাহসিকতার জন্য পুরস্কার দেব ভাবছি। সিলেকশন কমিটির কাছে নাম পাঠানোর কথা বিবেচনা করা হচ্ছে।”
|