এলাকায় পানীয় জলের ভরসা একমাত্র কুয়ো। কিন্তু শীত পড়তেই কুয়োর জল শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। ফলে জলকষ্টে ভুগছেন এলাকার বাসিন্দারা। এই সমস্যা দুর্গাপুর পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত আইনস্টাইন জে.সি. বোস বস্তি এলাকার।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই এলাকায় প্রায় হাজার তিনেক মানুষ বসবাস করেন। এলাকায় পুরসভার জলের কোনও পাইপলাইন কিংবা টিউবওয়েল নেই। পুরসভার কয়েকটি কুয়ো থাকলেও সেগুলি ব্যবহারের উপযোগী নয়। তাঁদের অভিযোগ, গরমকালে ওই এলাকায় পুরসভা জলের ট্যাঙ্ক পাঠালেও শীতকালে সেই ব্যবস্থা নেই। |
শুকনো কুয়ো। —নিজস্ব চিত্র। |
এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ ভট্টাচার্য ও নির্মল সেনগুপ্ত জানান, জলের সমস্যার কারণে এলাকার বাসিন্দারা প্রায় সবাই নিজেদের বাড়িতে কুয়ো তৈরি করেছেন। কিন্তু শীতকাল শুরুর সঙ্গে সঙ্গে কুয়োগুলিতে জলের স্তর নেমে গিয়েছে। জল না পেয়ে এলাকার বেশ কয়েক জন বাসিন্দার অন্যত্র চলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পাড়ার মোড়ে মোড়ে পাইপলাইনে করে জলের ব্যবস্থা করতে হবে।
এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি বাড়ির কুয়োয় জলের স্তর নীচে চলে গিয়েছে। অনেকের কুয়ো থেকে আবার ঘোলা জল উঠছে। কুয়োর জল পরিষ্কার রাখতে কেউ কেউ ছড়াচ্ছেন চুন ও ব্লিচিং। স্থানীয় বাসিন্দা রূপা প্রামাণিক, রঞ্জিতাদেবীরা বলেন, “কুয়োর জল খেয়ে বাড়ির ছোটরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সবার তো ফিল্টার কেনার ক্ষমতা নেই।” তাঁদের আরও দাবি, বর্ষাকালে এই কুয়োগুলির জল খুবই নোংরা হয়ে যায়। তখন পেটের রোগ আরও বেড়ে যায়। এলাকার কাউন্সিলর স্বরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এ বিষয়ে পুরসভায় আলোচনা হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে।” |