১০০ দিনের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগে সিপিএম পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন বিডিও। সোমবার ধূপগুড়ি ব্লকের মাগুরমারি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। ধূপগুড়ি থানার আইসি যুগল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “অভিযুক্ত প্রধান বিরুদ্ধে সরকারি টাকা নয়ছয়-সহ পাঁচটি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রধানকে অবশ্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে।” ধূপগুড়ির বিডিও সোমেন্দ্র দূতরাজ বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়। অনিয়ম ধরা পড়ার পর প্রধানকে শোকজ করা হয়। কোনও জবাব মেলেনি। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।”
পুলিশ সূত্রের খবর, গত বছর মার্চ মাসে গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব আলতা গ্রামে পুকুর খননের পাশাপাশি মাটির রাস্তা তৈরির কাজ করেন ৪৫৭ জন শ্রমিক। দুটি কাজ ছয় দিনে শেষ হয়। তবে কাজ শেষ হওয়ার পর আট মাস বাদেও ১৪০ টাকা দৈনিক মজুরির টাকা না মেলায় শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। এলাকার কয়েকজন তৃণমূল নেতা কর্মী বিষয়টি জানতে পারার পর খোঁজখবর শুরু করেন।
অভিযোগ, পুরানো মাস্টার রোল পাল্টে ওই কাজের জন্য নকল একটি মাস্টার রোল তৈরি করা হয়েছে। সেখানে কাজ করা শ্রমিকদের নাম বাদ দিয়ে অন্য কিছু নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, এক প্রাক্তন প্রধানের সই-ও লকল করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গত নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই কাজের জন্য বরাদ্দ হওয়া ১ লক্ষ ৪২ টাকা নতুন নাম লেখা জবকার্ডধারীদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গত ২১ নভেম্বর গ্রামবাসীরা ধূপগুড়ির বিডিওকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই প্রসঙ্গে সিপি ধূপগুড়ির জোনাল সম্পাদক তুষার বসু বলেন, “প্রধানের সঙ্গে কথা না বলে কোনও মন্তব্য করব না।” অভিযুক্ত প্রধান খয়বুর রহমানের মোবাইল বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। |