এক কাগজের কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ উঠল কেপিপি-র বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে শিলিগুড়ি মহকুমার ঘোষপুকুর এলাকার ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ ফাঁসিদেওয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি, ওই রাতেই ডুয়ার্সের শামুকতলা এলাকার প্লাইউড ব্যবসায়ী তথা এক সিপিএম নেতাকে টেলিফোনে হুমকি দিয়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (কেএলও) বিরুদ্ধে। দুটি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস ধরে কেএলও-র বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ আসছিল। এবারই প্রথম কেপিপি-র বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠল।
দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার কুনাল অগ্রবাল বলেন, “হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে” পুলিশ সূত্রের খবর, সম্প্রতি ঘোষপুকুর এলাকায় কেপিপি-র নতুন অফিস তৈরি হয়েছে। দুই দিন আগে স্থানীয় এক কেপিপি নেতা ওই কারখানায় গিয়ে দলীয় সভার কথা বলে রসিদ দিয়ে টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ। কারখানা কর্তৃপক্ষ তা দিতে না চাওয়ায় হুমকি দেওয়া বলেও অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে কেপিপি-র সভাপতি অতুল রায়ে’র দাবি, “আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। সব দলই দলীয় কর্মসূচির জন্য ব্যবসায়ী বা শিল্পপতিদের থেকে টাকা নেয়। এ ক্ষেত্রে রসিদ দিয়ে মাত্র ৩ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছিল। সরকারের নির্দেশে পুলিশ ষড়যন্ত্র করে তোলাবাজির মামলা রুজু করেছে।”
তবে জলপাইগুড়ি বিস্ফোরণের পরে পুলিশের নজরদারি, ধরপাকড় বেড়েছে। তার পরেও কেএলও-র নাম করে টাকা আদায়ের চেষ্টায় উদ্বিগ্ন জলপাইগুড়ির পুলিশ-প্রশাসন। পুলিশ সূত্রের খবর, গত কয়েক দিন ধরে শামুকতলা ওই প্লাইউড ব্যবসায়ীকে কেএলও-র নাম করে ফোন করা হচ্ছিল। এর আগে জুন মাসে এক লক্ষ টাকা চেয়ে তাঁকে টেলিফোন করা হয়েছিল। তিনদিন ধরে ফের ফোন আসা শুরু হওয়ায় তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। ওই ব্যবসায়ী জানান, এবার টাকা পরিমাণ বলা হয়নি। তবে তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে টাকা চেয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। প্রতিবারই কেএলও-র নাম করে টাকা চাওয়া হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। কেএলও নাম করে ফোন করে টাকা চাওয়ার বিষয়টি দেখা হচ্ছে।” |