ল্যাপটপের ব্যাগে অস্ত্রের ভাণ্ডার!
রবিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি বাসস্ট্যান্ড থেকে কয়েক কিলোমিটার মোটরভ্যানে ধাওয়া করে খেলারামপুর এলাকা থেকে এক যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করল পুলিশ। তার পিঠে রাখা ল্যাপটপের ব্যাগ থেকে মিলল দু’টি নাইন এম এম পিস্তল, তিনটি ম্যাগাজিন, একটি রিভলভার, দু’টি এয়ারগান, ৭৮ রাউন্ড কার্তুজ এবং নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম মেহতাব আলম। তার বাড়ি ভাগলপুরে। পুলিশের দাবি, মুঙ্গের থেকে আনা ওই অস্ত্র সে এ রাজ্যে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে এসেছিল বলে জেরায় কবুল করেছে।
ধৃতকে সোমবার ডায়মন্ড হারবার আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাকে সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, “মেহতাব এ রাজ্যের কোথায় কোথায় অস্ত্র পাচার করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বছর খানেক ধরে সে ওই কাজ করছে বলে জেরায় কবুল করেছে। শুক্রবার রাতে সে নদিয়ার চাকদহে এক ব্যক্তিকে অস্ত্র পাচার করেছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় উস্তি বাসস্ট্যান্ডে কয়েক জন পুলিশকর্মী দাঁড়িয়েছিলেন। পিঠে ল্যাপটপের চামড়ার ব্যাগ নিয়ে বছর ছাব্বিশের মেহতাব স্থানীয়দের কাছে কাগজে লেখা একটি ঠিকানার খোঁজ করছিলেন। মেহতাবের চালচলন এবং তার ব্যাগের ওজন দেখে পুলিশকর্মীদের সন্দেহ হয়। বাসস্ট্যান্ডের এক দোকানদার মেহতাবকে উস্তির খেলারামপুর যাওয়ার রাস্তা বাতলে দেন। বাসস্ট্যান্ড থেকে মোটরভ্যানে চেপে বসে ওই যুবক। আর একটি মোটরভ্যানে পিছু নেন তিন পুলিশকর্মীও। খেলারামপুরে নেমে রফিকুল আলম নামে এক ব্যক্তির বাড়ির খোঁজ শুরু করে মেহতাব। বড় রাস্তা থেকে কিছুটা দূরে রফিকুলের বাড়িতে পৌঁছতেই তিন পুলিশকর্মী মেহতাবকে ঘিরে ধরেন। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তল্লাশিতে তার ব্যাগ থেকে মেলে ওই অস্ত্র। তবে, রফিকুলকে পুলিশ ধরতে পারেনি। সে পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। মেহতাব এর আগে রফিকুলকে অস্ত্র পাচার করেছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। |