|
|
|
|
তৃণমূলকে বিঁধলেন বুদ্ধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
প্রয়াত সিপিএম নেতা সুকুমার সেনগুপ্তের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে স্মারক বক্তৃতা দিতে এসেও প্রতিপক্ষ তৃণমূলকে বারবার বিঁধলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সোমবার তমলুকে জেলা সিপিএম কার্যালয় প্রাঙ্গণে ‘গণতন্ত্র ও একুশ শতকে সমাজতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনাসভায় সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য বুদ্ধদেববাবু বলেন, ‘‘রাজ্যে যেদিন থেকে তৃণমূল রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে, তখন থেকেই গোলমাল শুরু হয়েছে। বিরোধী দল হিসেবে রাস্তা অবরোধ করেছে। থানায় গোলমাল করেছে। এগুলো ফ্যাসিবাদী শক্তির লক্ষণ। |
|
বসেই বক্তব্য রাখছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
এখনও সেই আক্রমণের ধারা অব্যাহত রেখেছে বামপন্থীদের উপর। এটা তৃণমূলের জন্মসূত্রেই পাওয়া।” নন্দীগ্রামের নাম না উল্লেখ করেই বুদ্ধদেববাবু বলেন, “২০০৭ সালের শুরু থেকেই এই জেলার একটা অংশ আক্রান্ত। যারা আক্রমণ চালাল তারা বলল, সেখানে শুধু একটা পার্টি থাকবে। আমরা এই আক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু সবটা ঠেকানো যায়নি।” সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বুদ্ধদেববাবু বলেন, ‘‘তৃণমূল যে ভোট পেয়েছে আমরা তা অস্বীকার করতে পারি না। কিন্তু তৃণমূল যতটা ভোট দেখাচ্ছে, তার সবটা ওদের নয়। একটা বড় অংশের মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি। এত আক্রমণ সত্ত্বেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরে আমরা ৪১ শতাংশ মানুষের সমর্থন পেয়েছি।” বুদ্ধদেববাবুর কথায়, “ওরা আমাদের এক জনকে তুলে নিয়ে গেলে আমরা ওদের এক জনকে তুলে নিয়ে আসব, এটা হতে পারে না। আমাদের আরও ধৈর্য ধরতে হবে। মানুষ যে ভাবে আমাদের পার্টিকে দেখতে চায় সেই পার্টি হতে হবে।” বুদ্ধদেববাবু আরও বলেন, “বিভিন্ন স্থানে একটু-একটু করে গণ-প্রতিবাদ হচ্ছে। আমার বিশ্বাস এ ভাবেই একদিন গণ-প্রতিরোধ গড়ে উঠবে। মানুষের সঙ্গে আমাদের আরও যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে।” আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে বুদ্ধদেববাবু বলেন, “উদার অর্থনীতি মনমোহন সিংহকে প্রায় পরাস্ত করে ফেলেছে। ফ্যাসিবাদী আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সাথে এ বার হিংস্র সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। আমাদের সামনে আরও কঠিন লড়াই রয়েছে। সেই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।” এদিন সভায় বুদ্ধদেববাবু ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেব, দলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক কানু সাহু। মঞ্চে বামফ্রন্টের শরিকদলের জেলা নেতৃত্বও উপস্থিত ছিলেন। সভার পরে জেলা কার্যালয়ে সুকুমার সেনগুপ্ত স্মৃতি পাঠাগারের উদ্বোধন করেন বুদ্ধদেববাবু। |
|
|
|
|
|