|
|
|
|
নাগাল্যান্ডে সশস্ত্র প্রতিরোধে পিছু হটল জঙ্গিরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি
৩০ ডিসেম্বর |
জঙ্গি গোষ্ঠীর তাণ্ডবের প্রতিবাদে শেষ পর্যন্ত সশস্ত্র আক্রমণের পথেই হাঁটলেন জুনেবটোর বাসিন্দারা। আজ জুনেবটোর বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রায় দু’ঘণ্টার গুলির লড়াইয়ের পরে সরকার-স্বীকৃত শিবির ছেড়ে পালাল এনএসসিএন (আইএম) জঙ্গিরা। এরপর শিবির দখল করে জুনেবটোর স্থানীয়রা বাড়ি, গাড়িগুলিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। নাগাল্যান্ডে জঙ্গিবাহিনীর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের এমন সশস্ত্র প্রতিরোধ বিরল ঘটনা।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ২১ ডিসেম্বর। মদ্যপ অবস্থায় কয়েকজন জঙ্গি জুনেবটোর কাছে একটি যাত্রীবাহী গাড়ি থামিয়ে মহিলা-সহ যাত্রীদের বেধড়ক মারধর ও লুঠপাঠ চালায়। দুই মহিলার শ্লীলতাহানিও করা হয়। ঘটনার জন্য সুমি উপজাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নেয় জঙ্গি সংগঠন এনএসসিএন (আইএম)। জানানো হয়, ঘটনায় জড়িত জঙ্গিদের এক সার্জেন্ট, এক কর্পোরাল ও আরও এক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিচার চলছে। কিন্তু জুনেবটোর সুমি উপজাতির মানুষ তাতে সন্তুষ্ট হননি। অভিযুক্তদের সুমি হো হোর হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে ও জুনেবটো থেকে আইএম বাহিনীকে উচ্ছেদ করার দাবিতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ গত দু’দিন ধরে আইএম বাহিনীর শিবির ঘেরাও করে রাখে। বের হয় মিছিল। জঙ্গি শিবির আক্রমণ করার জন্য সুমি উপাজতির তরফেও সশস্ত্র স্বেচ্ছাসেবকবাহিনী গড়া হয়। শনিবার সন্ধ্যায় দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে এক মহিলা-সহ দুই নাগরিকের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় আসাম রাইফেল্স-এর বিরাট বাহিনী।
সংঘর্ষবিরতিতে থাকা আইএম জঙ্গিদের আধা সেনা সুরক্ষা দিচ্ছে—এই অভিযোগে আজ ফের ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জনতা। অন্তত হাজার পাঁচেক সুমি উপজাতির মানুষ দা, কুড়ুল, একনলা, দোনলা বন্দুক নিয়ে শিবির ঘিরে ফেলে। বেগতিক দেখে জঙ্গিরা গুলি চালায়। আসাম রাইফেল্স জওয়ানরা শিবিরের পিছন দিক দিয়ে অন্তত ১০০ জঙ্গিকে বের করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। প্রায় ২ ঘণ্টার গুলির লড়াইয়ের পরে জঙ্গিরা পিছু হঠলে জুনেবটোবাসী মুকালিমি শিবির দখল করে জঙ্গিদের সব বাড়ি, গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে শিবির থেকে দুই জঙ্গির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আইএম-এর তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে, বিরোধী খাপলাং গোষ্ঠীর প্ররোচনা ও অস্ত্র-সাহায্যেই এই ঘটনা ঘটেছে। |
|
|
 |
|
|