বাস থেকে নামতে গিয়ে পায়ে চাদর জড়িয়ে গিয়েছিল বছর পঞ্চাশের কাউমিনা বিবি ওরফে করিমনের। মাটিতে পড়ে যেতে ওই বাসেরই পিছনের চাকা পিষে দিল তাঁকে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ কেষ্টপুর মোড়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, কাউমিনা বিবি বিধাননগরের সেচ দফতরের কর্মী। সোমবার বারাসত থেকে হাওড়াগামী এল-২৩৮ রুটের একটি বাস থেকে নামতে গিয়েই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই বাসেরই এক যাত্রী বলেন, “বাসটি কেষ্টপুরে ভাল করে না থেমেই চলতে শুরু করে। নিজের স্টপেজ চলে আসায় নামতে যান ওই মহিলা। তখনই চাদর পায়ে জড়িয়ে যেতে তিনি পড়ে যান। আমরা চিৎকার করে উঠলেও বাসটি ততক্ষণে চলতে শুরু করে দিয়েছিল।”
পুলিশ জানিয়েছে, কাউমিনা বিবির বাড়ি বারাসতের কাজিপাড়ায়। রোজ তিনি এই বাসে করেই কেষ্টপুরে নেমে বৈশাখী খেয়া পেরিয়ে সল্টলেকের সেচ দফতরের অফিসে যেতেন। এ দিনের এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়েরা। এমনিতেই কেষ্টপুরে ভি আই পি রোডের উপরে উড়ালপুলের কাজ হওয়ায় বাস থামার জায়গা নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ঘটে। তাই বাসগুলো ঠিক জায়গায় না দাঁড়ানোয় যাত্রীদের বাস ধরার জন্য দৌড়োদৌড়ি করতে হয়। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের অভিযোগ, এল-২৩৮ রুটের বাসগুলি জনবহুল রাস্তায় খুব দ্রুত চলে। এই রুটের বাস-চালকেরা এতটাই তাড়াহুড়ো করে চালান যে কোনও স্টপেজেই বাস বেশিক্ষণ দাঁড়ায় না। একই রুটের বাসের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে। তাই এর আগেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওই বাসের যাত্রী অনামিকা বাগচী বলেন, “বাসের চালকের দোষেই এটা ঘটল। বাসটা চলতেই উনি তাড়াহুড়ো করে নামতে যান।” বাসটিকে আটক হলেও চালক পলাতক। |