বিদেশি লগ্নি টানতে এক দিনেই জোড়া পদক্ষেপ।
বহু ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসায় ভারতে প্রথম বহুজাতিক হিসেবে ১১ কোটি ডলার বা ৬৮২ কোটি টাকার লগ্নির ঝুলি নিয়ে পা রাখার জন্য সোমবার নিয়ন্ত্রক এফআইপিবি-র অনুমতি পেল ব্রিটেনের বহুজাতিক টেস্কো। পাশাপাশি, তারা বিলেতেরই আর এক সংস্থা ভোডাফোনের ১৬০ কোটি ডলারের (১০,১৪১ কোটি টাকা) লগ্নিতেও সায় দিয়েছে। ভারতীয় শাখার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হাতে নিতেই তারা এই লগ্নি করবে। অর্থনীতি বিষয়ক সচিব অরবিন্দ মায়ারাম এ দিন জানান, টেস্কো ও ভোডাফোনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে ভোডাফোনের লগ্নি প্রস্তাব ১২০০ কোটি টাকার বেশি বলে এর পরবর্তী ধাপে সেটির জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটির ছাড়পত্র লাগবে। টেস্কোর ক্ষেত্রে শুধু অর্থ মন্ত্রকের সায় পেলেই চলবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর।
|
ভারতে লগ্নির দরজা খোলার পর প্রথম বহু ব্র্যান্ডের বহুজাতিক বিপণি খোলার কৃতিত্ব আদায় করে নিল টেস্কো। তবে এই লগ্নি আসবে টাটাদের হাত ধরেই। টাটা গোষ্ঠীর খুচরো বিপণন সংস্থা ট্রেন্ট হাইপারমার্কেট লিমিটেডের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগেই ভারতের ৫০,০০০ কোটি ডলারের (৩১.২৫ লক্ষ কোটি টাকা) খুচরো বিপণনের বাজারে পা রাখছে টেস্কো। এর জন্য দু’পক্ষের হাতে থাকবে সমান অংশীদারি। ট্রেন্টের ৫০ শতাংশ মালিকানা কিনে নিতে ইতিমধ্যেই আবেদন করেছে টেস্কো। অবশেষে বহু ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসায় ভারতে প্রবেশাধিকারের জন্য বিদেশি লগ্নি উন্নয়ন পর্ষদ বা এফআইপিবি-র এই অনুমতি আর্থিক সংস্কারের চাকাকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে শিল্পমহল। তাদের মতে, এটা বিদেশিদের ভারতের অথর্র্নীতির প্রতি আস্থা বাড়ারও লক্ষণ। টেস্কোর এই লগ্নি বাস্তবায়িত হলে আরও বিদেশি সংস্থাও ভারতে পা রাখতে আগ্রহী হবে বলে তাদের ধারণা।
এ দিকে, ভোডাফোন ভারতীয় শাখার উপর তার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি হাতে নিতে ছোট শেয়ারহোল্ডারদের হাতে থাকা মালিকানা কিনে নেবে। এই শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে রয়েছে ১০.৯৭ শতাংশ মালিকানা নিয়ে থাকা অজয় পিরামল (পিরামল এন্টারপ্রাইজেসের) এবং ২৪.৬৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক অনলজিৎ সিংহ (ম্যাক্স ইন্ডিয়া-র)। সিংহ ভোডাফোন ইন্ডিয়ার নন এগ্জিকিউটিভ চেয়ারম্যান পদেও রয়েছেন। মালিকানা হাতে নেওয়ার জন্য ভোডাফোন গোষ্ঠী অনলজিৎ সিংহকে দেবে ১২৪১ কোটি টাকা, পিরামল এন্টারপ্রাইজেসকে ৮৯০০ কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রক সূত্রে খবর, বিদেশি আর্থিক সংস্থার মালিকানা ৪৯ শতাংশের বেশি করার জন্য এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের প্রস্তাবে ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়টি এ দিন পিছিয়ে গিয়েছে।
|