স্কুলকে রাজনীতি মুক্ত করার জন্য স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক পদে প্রধান শিক্ষককে বসানোর দাবি জানালো রাজ্য প্রধান শিক্ষক সমিতি। বর্ধমান শহরের টাউন স্কুলে সমিতির দু’দিন ব্যাপী ৫৪তম বার্ষিক সম্মেলনে এই দাবি তোলা হয়।
রবিবার সম্মেলন মঞ্চে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিশেষ প্রতিবেদনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাস পয়লায় বেতন দেওয়া, বিদ্যালয়গুলিকে ‘স্পন্সরর্ড’ স্তরে উন্নীত করার জন্য রাজ্য সরকারের প্রশংসা করা হয়েছে। ছাত্র নেই অথবা কম রয়েছে এ রকম বেশ কিছু স্কুলকে কাছাকাছি অবস্থিত অন্য স্কুলের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য রাজ্য সরকার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে এই শিক্ষক সংগঠন।
তবে, একই সঙ্গে সরকারের শিক্ষা সংক্রান্ত কিছু মনোভাবের সমালোচনা করেছে এই শিক্ষক সংগঠনটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭২ সালের ‘স্পন্সরর্ড আইনে’ বিদ্যালয়ের প্রধানকে সম্পাদক করার কথা বলা ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের বর্তমান ঘোষণায় বলা হয়েছে সভাপতি ও সম্পাদক মনোনীত করবে শিক্ষা দফতর। সমিতির দাবি, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককেই সেই বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হোক।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। স্বপনবাবু বলেন, “শিক্ষকতার চেয়ে অধিকাংশ শিক্ষকের কাছে চাকরি বড় হয়ে গিয়েছে। আমরা প্রাক্তন শিক্ষকদের দেখলে প্রণাম করতাম। এখন ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের ধাক্কা মেরে ফেলে চলে যাচ্ছে।” অপর মন্ত্রী রবিরঞ্জনবাবু বলেন, “শিক্ষকেরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে গিয়েছেন। তাঁরা এখন নেতা হতে চান। সমাজের জন্য তাঁদের আর ভাবতে দেখা যায় না।” প্রধান শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকেও বর্তমান শিক্ষার মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ভর্তি সংক্রান্ত লটারি পদ্ধতিকে ‘অবৈজ্ঞানিক’ আখ্যা দিয়ে এই শিক্ষক সংগঠনের কর্তারা জানান, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল তুলে দেওয়ায় ফলে শিক্ষার মানের উন্নতি ঘটেনি। |