বাড়ির লাগোয়া গাছেই মিলল গৃহকর্তার ঝুলন্ত দেহ। আর, লাগোয়া সর্ষে খেতে পাওয়া গেল ওই যুবকের স্ত্রীর নিথর দেহ।
রবিবার সকালে কৃষ্ণনগরের ইটলা মথুরাপাড়ায় ওই দম্পতির মৃত্যুর কারণ অবশ্য স্পষ্ট নয়। মৃত প্রসেনজিৎ সর্দার (২২) ও তাঁর স্ত্রী মাধবীর মৃত্যু সম্পর্কে জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ নিশ্র বলেন, “প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে প্রসেনজিৎ স্ত্রীকে খুন করে সর্ষে কেতে ফেলে রাখে। তারপর নিজে স্ত্রীর-ই একটি শাড়ি ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন। তবে ময়না-তদন্তের রির্পোট না পাওয়া পর্যন্ত মাধবীর মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা সম্ভব নয়।” |
তবে ওই মহিলার দেহের পাশেই পরে ছিল একটি শিশি। তার মধ্যে বিষ ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর কয়েক আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছিল প্রসেনজিৎ ও মাধবী। |
প্রাথমিক আপত্তির পরে দু’বাড়িতেই তাদের বিয়ে মেনেও নিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকে ওই দম্পতির মধ্য প্রায়ই ঝগড়া হত বলে পড়শিরা জানিয়েছেন। মাধবীর বাবা ববি সর্দার বলেন, “জামাইয়ের সঙ্গে মেয়ের মনোমালিন্য চলছিল। তবে, এমন ঘটনা ঘটিয়ে বসবে ভাবতেও পারিনি।” |