|
|
|
|
ফাটল বাড়ছে নদীর পাড়ে, ত্রস্ত দাসপুর
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
ক্রমশ বেড়ে চলেছে রূপনারায়ণের পাড়ের ফাটল। গত শুক্রবার রাত থেকে দাসপুর ২ ব্লকের রানিচক বাজার সংলগ্ন জ্যোতকানুরামগড়ে রূপনারায়ণ নদীর পাড়ে প্রায় ৫০০ মিটার এলাকায় ফাটল নজরে আসে এলাকাবাসীর। তারপর থেকে আচমকাই বসে যেতে শুরু করে একাধিক দোকান। ইতিমধ্যেই ধসে প্রায় পঞ্চাশটির বেশি দোকান ও বাড়ি বসে গিয়েছে। ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে গ্রামবাসী থেকে প্রশাসনের মধ্যে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার সুব্রত মজুমদার বলেন, “আমরা সতর্ক রয়েছি। এলাকায় দফতরের লোকজন নজরদারি চালাচ্ছেন। এখনই কিছু করার নেই। তবে ফাটল বাড়ছে।”
|
|
এই ভাবেই ভেঙে পড়ছে দোকানঘর। —নিজস্ব চিত্র। |
কেন এই ফাটল?
স্থানীয় ও সেচ দফতর প্রাথমিক ভাবে মনে করছে, নদীর পাড় দখল করে বেআইনি ভাবে বড় বড় দোকান-বাড়ি তৈরির ফলে সেখানকার মাটি আলগা হয়েছে। পাড় ঘেঁষে চলে যাওয়া রাস্তায় চলাচল করে ভারী যানবাহন। তা ছাড়া নদীর পাড়ে নেই পর্যাপ্ত গাছ। সব মিলিয়ে নষ্ট হয়েছে পাড়ের বাঁধন। আর তাতেই এমন বিপর্যয় বলে মনে করছেন সেচ দফতরের আধিকারিকরা। ধসের জেরে প্রায় দেড়-দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদীর পাড়ের সব দোকান ও বাড়ির লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে, এখনও কোনও আশ্রয় শিবির খোলা হয়নি। রবিবার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, স্থানীয় ব্যবসায়ী গৌরচন্দ্র পাল, চা দোকানি নিতাই পাল, মনোহারি ব্যবসায়ী অশোক সাউয়ের কপালে ভাঁজ। নিতাইবাবু বলেন, “শুক্রবার দোকানে ধূপ দিয়ে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি দোকানের একটি দেওয়াল নদীর দিকে হেলে গেল! বাইরে বেরিয়ে দেখি বড় ফাটল। সঙ্গে সঙ্গে দোকান থেকে বাইরে বেরিয়ে মালপত্র সব বের করতে শুরু করি। আমাদের বড় ক্ষতি হয়ে গেল।”
শুক্রবার ভাঙনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিডিও অরূপ মণ্ডল, ওসি শ্যমল দাস-সহ প্রশাসনিক কর্তারা। শনিবার সকালে ঘাটাল মহকুমা সেচ আধিকারিক নমিত সরকারের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। রবিবারও সেচ দফতরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। শনিবার সকাল থেকে ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। স্থানীয় প্রশাসন আপাতত একাধিক জেনারেটরের মাধ্যমে বিকল্প আলোর ব্যবস্থা করেছেন। |
|
|
|
|
|