অনুমতি ছাড়া সভা করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। শনিবার প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করাকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়াল জাতীয় কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা কমিটি। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির হাসমিচকে। সেখানে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করার সময় শিলিগুড়ি থানার আইসি বিকাশ কান্তি দে এসে কংগ্রেস নেতাদের ধমকাতে শুরু করেন। তাতেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে।
দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, “পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। আমাদের মিছিল ও তারপরে জনসভা করার অনুমতি নেওয়া ছিল। কিন্তু তা সত্বেও পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাদের প্রতিষ্ঠা দিবস বানচাল করার পরিকল্পনা করেছিল। আমরা কোনও বেআইনি কাজ করিনি।” শিলিগুড়ি পুলিশের এসিপি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছি।” যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই বিকাশ কামন্তি গদে বলেন, “ওঁদের শুধু মিছিলের জন্য অনুমতি নেওয়া আছে। সভার অনুমতি নেই। ভবিষ্যতে কংগ্রেসকে অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে ভাবতে হবে।”
এদিন সকালে জনসভা করাকে কেন্দ্র করেই মূল বিতর্কের সূত্রপাত। পুলিশের অভিযোগ, কংগ্রেস নেতৃত্ব হাসমিচকে রাস্তার উপরে জনসভা করে বক্তৃতা করতে শুরু করেন। ফলে অফিস টাইমে এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। মিছিলের জন্য অআনুমতি নেওয়া থাকলেও জনসভার কোনও আগাম অনুমতি তাঁরা নেননি। ফলে উপযুক্ত সংখ্যক পুলিশকর্মীও দেওয়া হয়নি। এতে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্ব এই অভিযোগ স্বীকার করেননি। তাঁদের দাবি অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। জেলা যুব কংগ্রেসের লোকসভা সভাপতি অভিজিত রায় চৌধুরী বলেন, “অনুমতি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু যানজটের অভিযোগ তোলায় আমরা সমর্থকদের সরিয়ে নিয়েছি।” শিলিগুড়ি থানার আইসি বিকাশ কান্তি দের ব্যবহারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ।
এদিন জাতীয় কংগ্রেসের ১২৮ তম জন্ম জয়ন্তী পালন হয়। হাসমিচক থেকে হাজার খানেক সমর্থক নিয়ে হিলকার্ট রোড পরিক্রমা করেন তাঁরা। প্রদেশ কংগ্রেস নেতা তথা সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুইয়াঁ, প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম সম্পাদক সুবীন ভৌমিক, দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার, পার্থ সেনগুপ্ত প্রমুখরা মিছিলে অংশ নেন। মিছিলের পরে হাসমিচকের একদিকে মঞ্চ করে সভা করা হচ্ছিল। তা নিয়েই আপত্তি ওঠে। |