নজরদারি বাড়াতে পেট্রোল পাম্পে সিটিটিভি
কেএলও জঙ্গিদের গতিবিধির উপরে নজরদারি বাড়াতে উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলার পেট্রোল পাম্পে ক্লোজড সার্কিট টিভি (সিসিটিভি) রাখা বাধ্যতামূলক বলে সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সরকারি সূত্রের খবর, শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের ওই নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি থানাকে সংশ্লিষ্ট এলাকার পেট্রোল পাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিসিটিভি বসানো নিশ্চিত করতে হবে। উত্তরবঙ্গের পরে পর্যায়ক্রমে গোটা রাজ্যেই এই ব্যবস্থা কার্যকরের কথা ভাবা হচ্ছে। সরকারি সূত্রে খবর, সিসি ক্যামেরা ও মনিটর বসানো বাবদ যে খরচ হবে, তার ব্যয়ভার নিরাপত্তার স্বার্থে তেল উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকেই বহন করতে অনুরোধ করা হবে।
জলপাইগুড়িতে বিস্ফোরণের জেরে গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই চলছে নজরদারি। (বাঁ দিকে)
ময়নাগুড়িতে একটি জলসার মঞ্চে অনুষ্ঠান শুরুর আগে তল্লাশি। (ডান দিকে) পুলিশি
নজরদারি জলপাইগুড়ি শহরে। শনিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
নর্থ বেঙ্গল পেট্রোল পাম্প ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শ্যামল পালচৌধুরী বলেন, “এখন হাতে গোনা পেট্রোল পাম্পে সিসিটিভি রয়েছে। তবে কোচবিহার, ডুয়ার্সের প্রত্যন্ত এলাকার পাম্পগুলিতে সিসি ক্যামেরা প্রায় নেই। সেখানে বসানো যেতেই পারে। আমরা রাজ্যে সঙ্গে কথা বলব। যে সব সংস্থা তেল দেয়, তাদের প্রতিনিধিদেরও সঙ্গে কথা হবে। নিরাপত্তার জন্য এটা দরকার।”
১৯৯৫ থেকে ২০১৩-র মধ্যে কেএলও যে ক’টি নাশকতা ঘটিয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা মোটরবাইক ব্যবহার করেছে। অপহরণের সময়েও ব্যবসায়ী, চা বাগান মালিকদের প্রথমে মোটরবাইকে চাপিয়ে দীর্ঘ পথ নিয়ে গিয়েছে তারা। এমনকী, অপহরণের পরে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসতে পেরেছেন উত্তরবঙ্গের এমন কিছু ব্যবসায়ী জানান, যাতায়াতের পথে জঙ্গলে ধারে গোপন ডেরায় তাদের নামিয়ে হাইওয়ের ধারে পেট্রোল পাম্পে তেল ভরেছে জঙ্গিরা। কেএলও-র মোটরবাইক ব্যবহারের অন্যতম কারণ, ডুয়ার্স, কোচবিহারের প্রত্যন্ত বনাঞ্চলের মধ্যে তা নিয়ে অনায়াসে যাতায়াত করা যায়। কিন্তু গাড়িতে নানা সমস্যা হতে পারে। আলিপুরদুয়ার ও পরে জলপাইগুড়িতে বিস্ফোরণের তদন্তেও দেখা গিয়েছে লিঙ্কম্যানরা মোটরবাইক ব্যবহার করেই কাজ হাসিলের চেষ্টা করেছে।
এই প্রেক্ষাপটে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তরবঙ্গের পেট্রোল পাম্পগুলির উপরে নজরদারি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন স্থানীয় থানাগুলির অনেক অফিসার। কারণ, অসমে পেট্রোল পাম্পে সিসি ক্যামেরা থাকায় একাধিক নাশকতার ঘটনার আগেই পুলিশ তা রুখতে পেরেছে। ঝাড়খণ্ডেও এই ভাবে মাওবাদীদের গতিবিধি জানার কাজে বাড়তি সুবিধা মিলছে। ঝাড়খণ্ডে তেল উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির তরফে ক্যামেরা বসানোর কাজে সহায়তাও করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। গত কমনওয়েলথ গেমসের আগে নয়াদিল্লিতে প্রতিটি পাম্পে সিসি ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে কড়াকড়ি হয়। একাধিক পাম্প নির্দেশ না-মানায় পুলিশ সংশ্লিষ্ট পাম্প ম্যানেজারদের আটকও করে। পরে অবশ্য পেট্রোল পাম্প ডিলারদের সংগঠন বাড়তি সময় চেয়ে তাঁদের ছাড়িয়ে নেয়। এই যাবতীয় তথ্যই রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের জানা। কিন্তু এতদিন এই ব্যবস্থা কার্যকর করা নিয়ে নানা টালবাহানা হয়েছে বলে অফিসারদের অনেকেরই অভিযোগ। এখন মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করায় কাজটা হবে বলে ভুক্তভোগী অফিসারদের আশা। এ ব্যাপারে রাজ্য পুলিশের আইজি (আইনশৃঙ্খলা) অনুজ শর্মা বলেন, “প্রতিটি পাম্পে সিসি ক্যামেরা থাকলে অনেক সুবিধা মিলবে।”





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.