রাজ্য সরকারের তৈরি ‘প্রাণধারা’ জল কেনার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা মেনেই এ বার বহুজাতিক সংস্থার বোতলবন্দি জল কেনা বন্ধ করছে কলকাতা পুর-প্রশাসন। তাতে বছরে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ব্যয় কমানো সম্ভব বলে মত পুর-কর্তাদের। পুর-কমিশনার খলিল আহমেদ লিখিত ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, বহুজাতিক সংস্থার বোতলবন্দি জলের বদলে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তৈরি জল ব্যবহার করতে হবে।
শুধুমাত্র পুরভবনে পুর-কর্তাদের বৈঠকের জন্য বহুজাতিক সংস্থার জল কিনতে বছরে কমপক্ষে ১২ লক্ষ টাকা খরচ হয় পুরসভার। এক কর্তার কথায়, “পুর-কমিশনারের নির্দেশ কার্যকর হলে বছরে কয়েক লক্ষ টাকা বাঁচবে।” তিনি জানান, শীঘ্রই জনস্বাস্থ্য দফতরের কাছে ‘প্রাণধারা’ চেয়ে চিঠি পাঠানো হবে।
রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরিমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুর-প্রশাসন চাইলে আমরা জল দেব। আমাদের দফতরের বোতলবন্দি জল দামে অনেক কম। এর মানও ভাল।” প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী কোনও বহুজাতিক সংস্থার জল মুখেই দেন না। তাঁর পছন্দ ‘প্রাণধারা’। বিভিন্ন সরকারি অফিসের প্রয়োজনে ইতিমধ্যেই সরকারি জলের ব্যবহার বাড়ানোর উপরে জোর দিয়েছেন তিনি।
পুরসভা সূত্রের খবর, প্রাণধারার এক-একটি বোতলের দাম ৬-৭ টাকা। তা কিনলে পুরসভায় জলের খরচ এক ধাক্কায় পাঁচ লক্ষ টাকা কমে যাবে। সঙ্গে রাজ্য সরকারের আয়ও বাড়বে। পুরসভার এক অফিসার জানান, সরকারি জল তৈরির পরেও বহুজাতিক সংস্থার জল কেনা বন্ধ করেনি পুর-প্রশাসন। খোদ মুখ্যমন্ত্রী তা ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন দফতরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আগেই। এ নিয়ে আনন্দবাজারে খবর প্রকাশিত হতে নড়ে বসে পুর-প্রশাসন। বোতলবন্দি জল কেনার ভার পুরসভার কেয়ারটেকার দফতরের। পুর-সূত্রের খবর, ওই দফতরের কাছ থেকে বোতলবন্দি জল কেনার হিসেব নেন পুর-কমিশনার। তার পরেই তিনি সরকারি জল কেনার নির্দেশ দেন। |