প্রায় সাড়ে চারশো অকৃতকার্য পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকেরা মূল ফটকের তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকে ভাঙচুর চালাল। শনিবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ঘটনা। ভেঙে ফেলা হয়েছে স্কুলের চেয়ার, বেঞ্চ, ডেস্ক-সহ আসবাবপত্র।
এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়। জানা যায় বহু পড়ুয়া অনুত্তীর্ণ হয়েছে। এরপরই ফেল করা পড়ুয়া ও তাদের বাড়ির লোকজন গেট ও তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকে শিক্ষিকাদের উপর চড়াও হয়। তছনছ করে স্কুলের সম্পত্তি। প্রধান শিক্ষিকা বাসন্তী সরকার বলেন, “স্কুলে ঢুকে ওরা শিক্ষিকাদের দিকে তেড়ে আসে। অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। আমরা ঘরের দরজা বন্ধ করে দিই। তারপর ঘণ্টাখানেক ধরে বেঞ্চ, ডেস্ক ভাঙে বিক্ষোভকারীরা। বহু চেষ্টা করেও সমশেরগঞ্জ থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। ঘণ্টা তিনেক পরে পুলিশ আসে। বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে আমাদের মুক্ত করে।” তাঁর কথায়, “আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ভাবে স্কুল চালানো যায় না।” সহকারী জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পঙ্কজ কুমার পাল বলেন, “শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ‘নো ডিটেনশন’ নীতি চালু রয়েছে। তবে নবম শ্রেণিতে কোনও পড়ুয়া খারাপ ফল করলে তাকে আটকানো যেতেই পারে। প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।” বাসন্তদেবী বলেন, “সরকারি ওই নির্দেশের কথা আমার জানা নেই। তবে অষ্টম পর্যন্ত বাধ্যতামূলক পাশ করানোর নিয়ম থাকলে সকলকে পাশ করিয়ে দেওয়া হবে। তারপর নবম শ্রেণির ফেল করা ১০৬ জন ছাত্রী পাস করানোর দাবিতে ধর্না দিলে কে সামলাবে? দিন কয়েক আগেই মাধ্যমিকের টেস্টে অনুত্তীর্ণ ১২৬ জন পড়ুয়া পাশ করানোর দাবিতে স্কুলে চড়াও হয়। বাধ্য হয়ে তাদের পাশ করিয়ে দিই। এ রকম চলতে থাকলে শিক্ষার মান তলানিতে এসে ঠেকবে।” |