আনুষ্ঠানিক ভাবে মেলা শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাতে পর্যটকদের উত্সাহে ভাটা পড়েনি। ফি বছরের মতো এ বারও ভাঙা মেলাতেই ভিড় করেছেন অনেকেই। মেলা কর্তৃপক্ষও তাঁদের জন্য বাড়তি এক দিন বিদ্যুত্ ও জল সরবরাহ-সহ নানা পরিষেবাও তো জুগিয়েছেন। যদিও ইতিমধ্যেই বড় স্টলগুলি নিজেদের গন্তব্যে ফিরেছেন। মেলার মূল প্রাঙ্গণ ও লোক সংস্কৃতি মঞ্চ এলাকা খানিকটা ফিকে হয়ে এসেছে। তবে পুলিশ-প্রশাসন ও মেলা কর্তৃপক্ষের হিসেব যদিও বলছে, এ দিন ভাঙা মেলাতেই কম করে ৫০ হাজার মানুষ এসেছেন। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সাম্মানিক সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, “গত তিন দিনের মূল মেলার মতো ভিড় নেই ঠিকই। কিন্তু এখনও হাজার হাজার পর্যটক আসছেন। রবিবার পর্যন্ত ভালই ভিড় হবে।” এ সব দেখে প্রথম বার মেলায় ডিউটি পাওয়া এক পুলিশকর্মী বলছেন, “বোঝা দায় মেলা শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার!”
|
ফি বছর দুমকা থেকে পনেরোটি সাঁওতাল পরিবার তির, ধনুক নিয়ে মেলায় আসেন। মেলার ক’দিন ভালই বিক্রি হয়। রোজগারের আশায় এ বারও এসেছিলেন। কিন্তু মুখ ভার মুরবি মঙ্গলা টুড়ু, চুরকি হাঁসদাদের। যা বিক্রি হয়েছে তাতে, যাতায়াতের খরচও ওঠেনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় অবশ্য খানিকটা হাসি ফুটলো। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এলাকা থেকে বেশ কিছু আদবাসী যুবক ও কিশোর তাঁদের স্টল থেকে তির, ধনুক কিনেছেন। খবর শুনে বিশ্বভারতীর কর্মিমণ্ডলীর যুগ্ম সম্পাদক সৌগত সামন্তর প্রতিক্রিয়া, “যাক শেষমেশ তীরে এসে তরী লাগলো!” |