মুখোমুখি...
এমন করে তো কেউ জানতে চায়নি কেন ওদের ছেড়ে গিয়েছিলাম
পার্ক প্লাজা হোটেলের কফি শপে তখন তাঁকে দেখার ভিড়। কেউ এসে হ্যান্ডশেক করছেন তো কেউ মোবাইল ফোনে ‘জরা নজরো সে কহে দো জি’ শোনাচ্ছেন। এর মধ্যেই গ্রিন টি অর্ডার করে, নিজের মনে বহু কথা বললেন বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

পত্রিকা: আচ্ছা, আপনাকে একটা প্রশ্ন না করে পারছি না। বুম্বাদা একটা ইন্টারভিঊতে বলেছিলেন যে ছোটবেলার সেই সময় এমন দিন গিয়েছে, হোয়েন হি মিসড্ ইউ আ লট। সেই সময়টা কেমন ছিল?

বিশ্বজিৎ: (অনেক ক্ষণ চুপ থেকে) ছিল...ফ্যামিলি প্রবলেমস ছিল। দেখুন, স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে ওই চার দেওয়ালের ঘরে কী হচ্ছে, সেটা কারও পক্ষে জানা সম্ভবই নয়। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল।

পত্রিকা: কেমন ছিল প্রসেনজিতের ছোটবেলা? উনি নিজে কিন্তু সেই ভাবে কিছু বলতে চান না।
বিশ্বজিৎ: একদম ফিল্মের পরিবেশ ছিল।

পত্রিকা: মানে ডাইনিং টেবিলে উত্তম কুমারের সঙ্গে আড্ডা মারছেন আপনি এই দৃশ্য কি প্রায়ই দেখতেন প্রসেনজিৎ?
বিশ্বজিৎ: হ্যাঁ, হ্যা। আপনাকে একটা ঘটনা বলি। বুম্বার অন্নপ্রাশন সে দিন। গেটের বাইরে অতিথিদের আপ্যায়ন কে করছিলেন জানেন? করছিলেন ছবিদা। মানে ছবি বিশ্বাস। কানন দেবী, দীপ্তিদি, সন্ধ্যারানি দেবী মহিলা মহল সামলাচ্ছিলেন। আর উত্তমদা সানাই কনডাক্ট করছিলেন। এই ছিল পরিবেশ।

পত্রিকা: কিন্তু তার পর তো আপনাকে আর ছোটবেলায় খুব বেশি পাননি প্রসেনজিৎ।
বিশ্বজিৎ: না, একেবারেই পায়নি। আমি তো বেশির ভাগ সময়ই মুম্বইতে থাকতাম। তবে আজ এটুকু বলতে পারি, ও যে তিরিশ বছরের এই অভিনয়-জীবন কাটালো, সেটা কিন্তু ওর নিজের ক্যালিবারে। ওর অভিনয়-জীবনের ৫০ বছর তো আমার দেখা হবে না। তাই আমার কাছে ওর জীবনের এই ৩০ বছরের পূর্ণতাটা বিরাট পাওয়া। শুরুটা তো আমার হাতেই হয়েছিল। সেই ‘ছোট্ট জিজ্ঞাসা’ থেকে...

সে দিন কফি শপে আড্ডার শেষে।
পত্রিকা: আপনি মিস করতেন না আপনার ছেলেমেয়েকে?
বিশ্বজিৎ: অফকোর্স মিস করতাম।

পত্রিকা: মানে শ্যুটিং থেকে ফিরে ড্রিঙ্ক ঢালতে ঢালতে কখনও মনে হয়নি কে জানে, ছেলেমেয়েগুলো কী করছে!
বিশ্বজিৎ: অফকোর্স মনে হত। পরিস্থিতি ছিল না। মাকু আসত। বুম্বাও কখনও এসেছে। কখনও কলকাতায় এলে কুইন্স ম্যানসনের ফ্ল্যাটে লুকিয়ে আসত। সেটা টান থেকেই আসত। কিন্তু ওদের মা পছন্দ করত না। আর প্র্যাক্টিক্যাল কথা বলতে গেলে বাচ্চারা মায়ের ক্লোজ থাকবেই। বাবা তো এমনিতেই কাজে বাইরে বাইরে। তাই মা যে ভাবে চালিত করবে, বাচ্চারা সেই মতোই বিহেভ করবে।

পত্রিকা: আপনি নিজের স্ট্রাগলের সঙ্গে আপনার ছেলের স্ট্রাগলের মিল দেখতে পান?
বিশ্বজিৎ: আমার স্ট্রাগল অনেক বেশি ছিল ভাই। আমার কোনও ফিল্মের ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল না। আমার বাবা মিলিটারির ডাক্তার ছিলেন। আর সেই সময় ফিল্মে নামা মানে, সে ছেলে হোক কি মেয়ে, উচ্ছন্নে গেল। লোকে খুব তাচ্ছিল্যের চোখে দেখত ফিল্ম লাইনটাকে। বুম্বাকে সেটা তো ফেস করতে হয়নি। তবে ওর সঙ্গে না থেকেও আমি কিন্তু ওর খবর রাখতাম।

পত্রিকা: কী রকম?
বিশ্বজিৎ: মানে ১৯৮৭-তে যে ওর ‘অমরসঙ্গী’ হিট করল, সেই ফিল্ম থেকেই যে ও এস্ট্যাব্লিশড্ হল সব খবরই রাখতাম আমি।

পত্রিকা: একটা সময় যখন প্রসেনজিতের জীবনে নানা উথালপাথাল পর্ব চলছে, কখনও ফোন তুলে বলেননি, ‘এই ভুলগুলো কেন করছিস?’ বাবা হিসেবে আপনার রাইট তো ছিল...
বিশ্বজিৎ: করেছি। দিয়েছি ওকে অ্যাডভাইস। ওর দ্বিতীয় বিয়েটা ভাঙার আগে বলেছিলাম ডিভোর্স কোরো না। তোমাদের ঝামেলা থাকতে পারে। কিন্তু থাকো একসঙ্গে। ও বলল, নট পসিবল বাপি। আমিও তার পর আর কিছু বলিনি।

পত্রিকা: আপনি জানেন নিশ্চয়ই বাঙালিদের একটা বড় অংশের কাছে বহু দিন আপনি ভিলেন ছিলেন। অনেকেই বলত, বিশ্বজিৎ বাচ্চাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিল।
বিশ্বজিৎ: কিন্তু আজ আপনি আমাকে জিজ্ঞেস করছেন। কেউ তো কোনও দিন আমার দিকটা জানতে চায়নি ভাই। কেউ জানতে চায়নি কেন আমি বাধ্য হয়েছিলাম এ রকম করতে। তবে হ্যাঁ, আমার বাবা রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় কি আমার ঠাকুর্দা নরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় আমাকে শিখিয়েছিলেন, ওপরের দিকে তাকিয়ে থুতু ছেটালে সেটা নিজের গায়েই পড়ে। তাই আমি চুপ থেকেছি আমি জানতাম, সত্যিটা ঠিক বেরোবে। সত্যের জয় হবেই। ধৈর্যটা রাখতে হবে।
হনুমান ডট কম-এর
প্রিমিয়ারে দেখা হতেই।
নাকতলার বাড়ির সদর দরজায় এখনও
প্যাঁচানো লোহায় লেখা ‘বিশ্বজিৎ’।
পত্রিকা: এক সময় তো আপনার ওপর প্রসেনজিতের বিস্তর অভিমানও ছিল।
বিশ্বজিৎ: ওটা ওর দোষ ছিল না। আমার মনে আছে, বহু বছর আগে কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, এই যে বুম্বা আপনাকে ভুল বুঝছে, আপনার খারাপ লাগে না?

পত্রিকা: এর উত্তরে কী বলেছিলেন?
বিশ্বজিৎ: বলেছিলাম যে দিন বুম্বা ম্যাচিওর্ড হবে, যে দিন ও নিজে বুঝতে পারবে জীবনটা কী রকম, সে দিন ও আমাকে বুঝবে। আজ ও বুঝছে। এই তো তিন মাস আগে আনন্দ প্লাস-য়ের ইন্টারভিউতেই ও বলল যে ওর ইগোর জন্য ওর বাবার সঙ্গে বহু দিন একটা দূরত্ব ছিল। ওটা পড়ে আমার মনে হয় এটা ওর বিরাট উপলব্ধি। ও নিজে সুপারস্টার অব বেঙ্গল। সে এত বড় কাগজে এটা বলল তো? ও নিজের ইগো বিসর্জন দিল তো। তার পর আমি আর দু’বার ভাবি নি। আমিও আমার হাতটা বাড়িয়ে দিয়েছি। আফটার অল ও আমার রক্ত। ওর ছেলে আমাদের বংশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর রাগ, দুঃখ, অভিমান করে কী লাভ? আজ আমি বুঝেছি, জীবনের অনেক ছোট ছোট খারাপ লাগাকে ইগনোর করা উচিত। আজ আমি খুব তৃপ্ত।

পত্রিকা: আপনাদের দু’জনকে কি কাছে আনলেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়?
বিশ্বজিৎ: হ্যাঁ, ও খুব বুদ্ধিমতী মেয়ে। অর্পিতা আর আমার বৌ ইরা চট্টোপাধ্যায়ের জন্যই বুম্বা আর আমি কাছাকাছি এলাম। ইরা নিজেও পিএইচডি। এলফিনস্টোন কলেজের প্রফেসর। ওরা দু’জনেই একটা মিটিং অ্যারেঞ্জ করেছিল মুম্বইতে, যেখানে অর্পিতা আমাকে বলল, “বাবা, ওর অভিনয়-জীবনের ৩০ বছর হচ্ছে। তোমাকে আসতেই হবে।”

পত্রিকা: আজ ফিরে তাকালে কি মনে হয় আপনারা দু’জনেই খুব ইমোশনাল?
বিশ্বজিৎ: হ্যাঁ, খুব ইমোশনাল। আমি তো স্যাজিটেরিয়ান, ইমোশনের বশেই চলি। বুম্বাও ইমোশনাল। এত ইমোশনাল বলেই তো পার্সোনাল লাইফটা এত ঘেঁটে গেল। আমারও গেল, বুম্বারও গেল। মাকুরও (পল্লবী) তাই হল। আমরা প্র্যাক্টিক্যাল হলে এ রকম হত না।

পত্রিকা: আচ্ছা, আপনি তো উত্তমকুমারের খুব ক্লোজ ছিলেন। যখন এত ঝামেলা চলছিল, যখন প্রসেনজিৎরা ছোট, কখনও ওঁর কাছে পার্সোনাল অ্যাডভাইসের জন্য যাননি?
বিশ্বজিৎ: উত্তমদা নিজেই তো...কে কাকে অ্যাডভাইস দেবে। আমি অভিনয়ের অনেক অ্যাডভাইস পেয়েছি উত্তমদার কাছ থেকে। কিন্তু ওঁরও পার্সোনাল লাইফে এত প্রবলেম ছিল যে ওটা নিয়ে আর কোনও কথা বলতাম না আমি। তবে আমি খুব ক্লোজ ছিলাম। গিরীশ চ্যাটার্জি রোডের বাড়িতে যেতাম। গৌরী বৌদি রান্না করে খাওয়াতেন। মাসিমা-মেসোমশাই আমাকে খুব স্নেহ করতেন। বুড়ো (তরুণকুমার) আমার খুব ভাল বন্ধু ছিল। কিন্তু পার্সোনাল জায়গায় ঢুকিনি। তবে এটা বুঝেছি যে, এটা বোধহয় একটা অভিশাপ।

পত্রিকা: কোনটা?
বিশ্বজিৎ: এই যে হিরোর সঙ্গে যদি সাধারণ কোনও মেয়ের বিয়ে হয়, তার অ্যাডজাস্ট করতে সমস্যা হবেই। তোমার বর হিরোইনের সঙ্গে রোম্যান্স করবে, আউটডোরে যাবে। যে কোনও মেয়ের পক্ষেই এটা মেনে নেওয়া ডিফিকাল্ট। তাই দেখবে বেশির ভাগ হিরোরই ম্যারেড লাইফটা প্রবলেমে ভরা। এটাকে আমি হিরোদের জীবনের অভিশাপ বলি।

পত্রিকা: সাধারণ মেয়ের সঙ্গে ঝামেলা বুঝতে পারলাম। কিন্তু ফিল্মের হিরোইনের সঙ্গে বিয়ে হলেও যে বিয়ে টিকবে, তার গ্যারান্টি কই? দেবশ্রী রায়-প্রসেনজিতের বিয়েই তো টেকেনি?
বিশ্বজিৎ: ঠিকই, এটার কোনও ইকুয়েশন নেই। ওরা ভালবাসত একে অপরকে। নিজেদের কাজের জায়গাগুলো বুঝত। তাও টিকল না। বিয়েটা ভাগ্যের ব্যাপার। ওটার কোনও ফর্মুলা নেই।
পছন্দের ছবি। এত দিন আগের যে,
ঠিক ওঁর মনে পড়ে না কোথায়।
নাকতলার বাড়ির সদর দরজায়
এখনও প্যাঁচানো লোহায় লেখা ‘বিশ্বজিৎ’।
পত্রিকা: আচ্ছা, প্রসেনজিৎ একদিন আড্ডা মারতে মারতে বলছিলেন যে এখন হিরোরা কোনও ‘দুষ্টুমি’ করে না। আসল ‘দুষ্টুমি’ নাকি আপনাদের সময়ের নায়করাই করতেন। সেটা ঠিক?
বিশ্বজিৎ: দেখুন, সব সময়ই আমার ফিমেল ফ্যান বেশি ছিল। তখনকার দিনেও রোম্যান্স ছিল, প্রেম ছিল, লাইকিংস ছিল। কিন্তু আজকের মতো এত খোলামেলা ছিল না। একটা লিমিট ছিল সব কিছুর মধ্যে। একটা আব্রু ছিল প্রেমে, ভালবাসায়। সেটা আজ দেখি না।

পত্রিকা: আপনাদের সময় সব চেয়ে রোম্যান্টিক হিরো কে ছিলেন?
বিশ্বজিৎ: আনডাউটেডলি রাজ সাব। আমায় দেখলেই বলতেন, “বিশ্বজিৎ, পহলে আশিক বনো। ফির হিরো বন্না।” সবার সামনেই বলতেন, “ম্যয় তো সব হিরোইনকে সাথ রোম্যান্স কিয়া।” চোখের সামনে দেখেছি ঋষিকে বলছেন, “পহলে ডিম্পলকে সাথ প্যার কর। ফির শট দে।” রাজজি সব চেয়ে রোম্যান্টিক।


পত্রিকা: একটু প্রসেনজিতের কাজের ক্ষেত্রে আসি। এই যে ফেজটা ‘অটোগ্রাফ’, ‘মনের মানুষ’...

বিশ্বজিৎ: এটা ওর বেস্ট ফেজ। যে দু’টো ছবির কথা বললেন, তা ছাড়াও ‘বাইশে শ্রাবণ’ রয়েছে, ‘মিশর রহস্য’ রয়েছে। ‘হনুমান ডট কম’ ভাল লাগল। সামনে ‘জাতিস্মর’ রয়েছে। দিজ ইজ আ গ্রেট ফেজ। কিন্তু একটাই অভিযোগ আছে আমার।

পত্রিকা: কী সেটা?
বিশ্বজিৎ: আজকাল এই সিনেমাগুলোয় এত ভালগার ডায়লগ হচ্ছে কেন? এটা কি গিমিক নাকি!

পত্রিকা: এটা কি ‘বাইশে শ্রাবণ’-য়ের কথা ভেবেই বলছেন আপনি?
বিশ্বজিৎ: হুমমম, ওটা তো তাও চরিত্রের প্রয়োজনে দরকার ছিল। কিন্তু এমনিতেও দেখি বড্ড ভালগার ডায়লগ। এবং শুধু বাংলায় নয়, হিন্দিতেও একই জিনিস হচ্ছে। ফ্যামিলির সঙ্গে বসে অনুরাগ কশ্যপের ছবি আপনি দেখতেই পারবেন না। ভালই হয়েছে বাবা, এই সময় আমি কাজ করছি না।

পত্রিকা: আচ্ছা, একটা বিরাট ফেজ ছিল যখন প্রসেনজিৎ এমন কিছু ছবি করেছিলেন যে আপনাকে কি তৃষাণজিৎকেও দেখাতে উনি কুণ্ঠাবোধ করবেন। সেই সময়ের কোনও ছবি আপনি দেখেছেন?
বিশ্বজিৎ: হ্যাঁ, দেখেছি। ‘প্রতিবাদ’ বলে একটা ছবি আমায় দেখিয়েছিল। সেই ফেজটায় ইন্ডাস্ট্রিকে টানার জন্য বুম্বাকে ছবি করতে হয়েছে। আমরা ফিল্ম লাইনের লোক ভাই। আমাদের একটাই মোটো দ্য শো মাস্ট গো অন।

পত্রিকা: ওঁর কেরিয়ার দেখে মনে হয় না আপনার মতো প্লেব্যাক সিঙ্গার আর সেই রকম গান উনি পেলেন না?
বিশ্বজিৎ: অবশ্যই মনে হয়। ও ভাল গান তেমন পেল কই? সে দিক থেকে দেখতে গেলে আমি হেমন্তদা, রফি সাব, দু’জনকেই পেয়েছিলাম। বুম্বা বেচারা সেটা মিস করে গেল।

পত্রিকা: আজ প্রসেনজিতের গ্রোথ অ্যাজ অ্যান অ্যাক্টর দেখে আপনার কোন ছবিটা উনি করতে পারেন বলে মনে হয় আপনার?
বিশ্বজিৎ: (কিছুক্ষণ ভেবে) বুম্বা ‘কুহেলি’ খুব ভাল করত। ‘গোধূলিবেলা’ও ভাল করত।

পত্রিকা: আর প্রসেনজিতের কোন ছবিটা আপনি করতে চাইতেন?
বিশ্বজিৎ: ‘মনের মানুষ’। বড্ড ভাল রোল ওটা।

পত্রিকা: আপনাদের দু’জনকে একসঙ্গে স্ক্রিনে কবে দেখব আমরা?
বিশ্বজিৎ: (হেসে) সে তো পরিচালক ও তাঁদের সাবজেক্টের ওপর ডিপেন্ড করবে ভাই। সেই রকম বিষয় পেলে আমি অবশ্যই বুম্বার সঙ্গে কাজ করতে চাইব। তবে সাবজেক্ট ভাল হতে হবে। ‘শক্তি’-র মতো ফিল্ম। দিলীপকুমার ও অমিতাভ যেটা করেছিল। ও রকম লেবেলের একটা সাবজেক্ট পেলেই করব।

পত্রিকা: শেষ প্রশ্ন। আজ প্রসেনজিতের ৩০ বছরের কেরিয়ারের পোস্ট মর্টেম করতে গেলে এমন কি কিছু আছে, যেটা মনে হয় প্রসেনজিৎ করলেন না?
বিশ্বজিৎ: হ্যাঁ, আছে। ও মুম্বইতে কেন গেল না,এটা আমার খুব মনে হয়। ওর মধ্যে সব মশলা ছিল। আমি যখন শুরু করেছিলাম, আমার প্রথম থেকেই লক্ষ্য ছিল বলিউডে নাম করার। আমি ন্যাশনাল লেভেলে খেলব। আমার ইন্ডিয়ার ক্যাপটা চাই। সেই মতো নিজেকে প্রিপেয়ার করেছিলাম। উর্দু শিখেছিলাম। হর্স রাইডিং শিখেছিলাম। বুম্বাও পারত। কিন্তু কেন যে করল না! বুম্বা রঞ্জি খেলেই খুশি থাকল। এই খেদটা আমার সারা জীবন থাকবে ওর সম্বন্ধে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.