মার্কিন অর্থনীতির মুখ তোলার ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট হওয়ায় পালে হাওয়া বিশ্ব বাজারের। শুক্রবার যা ঠেলে তুলল ভারতের শেয়ার বাজারকেও।
সপ্তাহের শেষ লেনদেনের দিনে প্রায় ১১৯ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স। দৌড় শেষ করল ২১,১৯৩.৫৮ অঙ্কে। ৩৪.৯০ বেড়ে ৬,৩১৩.৮০ পয়েন্টে পৌঁছল নিফ্টি-ও। দিন ভাল গেল টাকারও। বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি বাজারে ডলারের ঝুলি উপুড় করতে থাকায় এ দিন ৩১ পয়সা দর বেড়েছে ভারতীয় মুদ্রার। দিনের শেষে এক ডলারের দাম হয়েছে ৬১.৮৫ টাকা।
মার্কিন শ্রম দফতরের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ওবামার দেশে ফের কমেছে বেকারত্বের হার। সরকারি ভাবে কর্মহীনের সংখ্যা আরও ৪২ হাজার কমে নেমেছে ৩.৩৮ লক্ষে। শুধু তা-ই নয়। বছরের দ্বিতীয়ার্ধে মার্কিনদের খরচাপাতি করার প্রবণতাও বেড়েছে অনেকটা। বিশেষত ক্রিসমাস আর ইংরেজি নববর্ষের এই ছুটির মরসুমে কেনাকাটার অঙ্ক বেড়েছে চোখে পড়ার মতো।
এ দিন সকালের দিকে ইউরোপ ও বৃহস্পতিবার আমেরিকায় বাজারের উত্থানে জ্বালানি জুগিয়েছে ওবামার দেশের ওই জোড়া সুখবরই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর সঙ্গে আবার ডলারের সাপেক্ষে টাকার দর বৃদ্ধি তেজি করেছে ভারতের বাজারকেও।
টিসিএস, ইনফোসিসের মতো সংস্থার দর এ দিন ছিল ঊর্ধ্বমুখী। মার্কিন অর্থনীতির চাকায় গতি বাড়লে তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবার বরাত পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির শেয়ারের দর এ দিন বেড়েছে বলে অনেক বিশেষজ্ঞের দাবি। এ ছাড়া, বাড়তি কয়লা পাওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে আশ্বাস পাওয়ায় মোটের উপর দর বেড়েছে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির শেয়ারের। কিছু ব্যাঙ্ক এবং ওষুধ সংস্থার শেয়ারের চাহিদাও ভাল ছিল।
একেই টাকার সাপেক্ষে ডলারের দাম এখনও চড়া। তার উপর আমেরিকা-ইউরোপের অর্থনীতির হাল ফিরলে বরাত বাড়বে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির। তাই চলতি অর্থবর্ষে বাজারে তাদের দাপট বজায় থাকবে বলেই বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
তবে আগামী দিনে বাজারের হাল অনেকটাই নির্ভর করবে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির উপর। এ মাসে ভারতের বাজারে ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছে তারা। শুধু বৃহস্পতিবারই নিট শেয়ার কিনেছে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার। আগামী দিনে এই লগ্নির ধারা কতটা বজায় থাকবে, বাজার তার উপর অনেকখানিই নির্ভর করছে বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি। |