|
|
|
|
ভল্ট কেটে লুঠ ১২ লক্ষ টাকা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
দরজা ও জানালার দুটো গ্রিল কেটে ভিতরে ঢুকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সিন্দুক থেকে প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা লুঠ করেছে দুষ্কৃতী দল। বুধবার বড়দিনের রাতে মানিকচক এনায়েতপুরে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায়। মালদহ-মানিকচক রাজ্য সড়কের ধারে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্যাস-কাটার যন্ত্র দিয়ে সিন্দুকের দরজা কেটে দুষ্কৃতীরা টাকা বের করে নেয়। তবে তার আগে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার তার কেটে দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। যদিও গ্রিল ও সিন্দুক ভাঙা, গ্যাস কাটারের মতো ভারী যন্ত্র নিয়ে ব্যাঙ্কের ভেতরে দুষ্কৃতীরা ঢোকার ঘটনা ঘটলেও বাসিন্দারা শব্দ পাননি বলে পুলিশ জানিয়েছে। ব্যাঙ্কে বা ওই অফিসে নৈশ প্রহরী নেই বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে কলকাতার ফরেন্সিক দলের সাহায্য চেয়েছে পুলিশ। ডাকা হয়েছে ফিঙ্গার-প্রিন্ট বিশেষজ্ঞদের। আপাতত ব্যাঙ্ক কর্মীদের সিন্দুকে হাত দিতেও নিষেধ করেছে পুলিশ। |
|
কাটার পরে ভল্ট। —নিজস্ব চিত্র। |
জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে।” এনায়েতপুর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের দোতলায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা চলে। ব্যাঙ্কের এক পাশে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের অফিস রয়েছে। পঞ্চায়েত অফিসের নীচে একপাশে পশু চিকিৎসালয় ও অন্য পাশে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। অফিস লাগোয়া এলাকাতেই এনায়েতপুর বাজার। গত ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ব্যাঙ্ক বন্ধ করে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সহ ৬ জন কর্মী চলে যাওয়ার পরে, বুধবার বড়দিনের ছুটির কারণে ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল। ব্যাঙ্কের শাখা ম্যানেজার অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, “বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কে ঢুকে দেখি দেখি ব্যাঙ্কের কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ব্যাঙ্কের ভল্ট কাটা। হিসেব মিলিয়ে দেখা গিয়েছে মোট ১২ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা লুঠ করা হয়েছে।” এ দিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ ব্যাঙ্কের শাখায় তদন্তে গিয়েছিলেন। প্রথমে ব্যাঙ্কে ঢোকার দরজার গ্রিল কাটে দুষ্কৃতীরা। প্লাইউডের দরজা ভেঙে ম্যানেজারের ঘরের পাশে জানালার লোহার গ্রিল কেটে সিন্দুকের ঘরে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। |
|
|
|
|
|