|
|
|
|
বেহাল চাঁচল বাস টার্মিনাস
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
ছোট বড় মিলিয়ে প্রতি দিন ১০০টি বাস চলাচল করে। মহকুমা সদর হওয়ায় অফিস সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে শহরে রোজ গড়ে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। অথচ, মালদহে চাঁচল মহকুমা সদরের বাস টার্মিনাস বলতে মাত্র ৮ট ফুট চওড়া একটা বেহাল যাত্রী-শেড। নেই শৌচাগার বা পানীয় জলের ব্যবস্থাও। আলোর ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যায় অন্ধকার থাকে টার্মিনাস চত্বর।
বেহাল এ টার্মিনাসে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য তো দূরের কথা, বরং ওই টার্মিনাস মহকুমা সদরে যানজটের আখড়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। স্বল্প পরিসরে ওই টার্মিনাস গড়ে তোলায় একটি বড় বাস দাঁড়ালে তার পিছনের চাকা প্রায় জাতীয় সড়কে উঠে থাকে। ফলে অধিকাংশ বাস বা যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকে সড়ক দখল করেই। তার জেরেই দিনভর এলাকায় যানজট লেগে থাকে বলে অভিযোগ। এক দশক ধরে শহরের বাইরে স্থায়ী টার্মিনাস গড়া হবে বলে প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হলেও তা কার্য়কর না হওয়ায় ক্ষোভ দানা বাঁধছে বাসিন্দাদের মধ্যে।
চাঁচলের কংগ্রেস বিধায়ক আসিফ মেহবুব বলেছেন, “টার্মিনাসে জায়গা এতটাই কম যে তাতে সমস্যা আরও বেড়েছে। যেটুকু জায়গা রয়েছে তা নিয়ে প্রশাসনের মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না।” চাঁচলের মহকুমাশাসক সঞ্জীব দে বলেন, “শহরের বাইরে টার্মিনাস করতে পারলে যানজট থেকে রেহাই মেলার পাশাপাশি যাত্রী স্বাচ্ছন্দ বজায় থাকবে। আমরা শহরের বাইরে জমির খোঁজ করছি। পেলেই সেখানে টার্মিনাসের ব্যবস্থা হবে।”
১৯৯৯ সালে হরিশ্চন্দ্রপুরগামী ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ওই টার্মিনাস গড়া হয়। যদিও বাসিন্দাদের অভিযোগ, নামেই টার্মিনাস। বিদ্রোহী কবির নামের ওই টার্মিনাস পুরোপুরি বেহাল। শহরের বাসিন্দা, নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে চালকেরা জানান, টার্মিনাস তৈরি হওয়ার তিন বছর বাদে চাঁচল মহকুমা গড়ে উঠেছে। ২০০১ সালে মহকুমা গঠনের পর যানবাহন বেড়েছে ১০ গুণেরও বেশি। বেড়েছে যাত্রীদের সংখ্যাও। টার্মিনাসের পাশের সড়ক রাজ্য সড়ক থেকে জাতীয় সড়ক হয়েছে। এত কিছুর পরেও টার্মিনাসের পরিকাঠামোর কিন্তু হেরফের হয়নি। চাঁচল নাগরিক উন্নয়ন মঞ্চের সভাপতি দেবব্রত ভোজ বলেন, “চাঁচল পুরনো হাটে খাসজমি আছে। সেখানে অস্থায়ী বাস স্ট্যান্ড করার কথা প্রশাসনকে লিখিত জানিয়েছি। এতে অনেকটাই সমস্যা মিটবে বলে মনে হয়।” বিডিও সুব্রত বর্মন জানান, টার্মিনাসের বিষয় নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। |
|
|
|
|
|