|
|
|
|
প্রসূতির মৃত্যুতে গাফিলতির নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ |
প্রসূতির মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের নামে হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মৃতার পরিবার।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার রাত ৯টা নাগাদ প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বাগদার নাটাবেড়িয়ার কুজারবাগির বাসিন্দা বিউটি সরকার (১৯)। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ অস্ত্রোপচার করে প্রসব করানোর জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় অপারেশন থিয়েটারে। পরিবার সূত্রের খবর, ঘণ্টা খানেক পরে বিউটি একটি পুত্রসন্তান প্রসব করেন। বেলা ১২টা নাগাদ দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক স্নেহাশিস গুপ্ত প্রসূতির পরিবারকে জানান, প্রসূতির শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। কলকাতার হাসপাতালে ‘রেফার’ করা হতে পারে। সেই মতো গাড়ির ব্যবস্থা করেন বাড়ির লোকজন। |
|
শোকার্ত পরিবার। —নিজস্ব চিত্র। |
বেলা ২টো নাগাদ তাঁদের জানানো হয়, মারা গিয়েছেন বিউটি। উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন স্থানীয় বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। স্নেহাশিসবাবুর বিরুদ্ধে সুপারের কাছে লিখিত ভাবে গাফিলতির অভিযোগ জানান বিউটির স্বামী সুভাষ সরকার। বিউটির দাদা লাল্টু মালাকার বলেন, “সুস্থ অবস্থায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সব শেষ। এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না।” মৃতার মামা রণজিৎ বিশ্বাসের কথায়, “ডাক্তারের দোষেই এমনটা হল। রোগিণীকে যদি রেফারই করতে হবে, তা হলে এত দেরি করলেন কেন? আমরা তো কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরিই ছিলাম।”
গাফিলতির কথা মানতে চাননি অভিযুক্ত চিকিৎসক। তিনি বলেন, “রোগিণীর পরিস্থিতি প্রসবের আগেই খারাপ হয়ে পড়েছিল। তবু যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়। তবে অবস্থা এমনই ছিল, কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথেও বিপদ হতে পারত।”
হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর বলেন, “বাইরের কোনও হাসপাতাল থেকে চিকিৎসককে এনে তদন্ত করানো হবে। নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে দেহ ময়না -তদন্ত করানো হবে অন্য হাসপাতালে।” সেই মতোই বিউটির দেহ ময়না -তদন্তের জন্য নীলরতন সরকার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সদ্যোজাত সুস্থ আছে বলেও জানিয়েছে তারা। |
|
|
|
|
|