অচলাবস্থা কাটতে চলেছে সেবাসদনে
নিজস্ব সংবাদদাতা • রিষড়া |
অচলাবস্থা কাটতে চলেছে রিষড়া সেবাসদন হাসপাতালের। বৃহস্পতিবার সরকার তরফে গঠিত তদারকি কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আপাতত হাসপাতাল চালাবে স্থানীয় পুরসভা। তারাই প্রাথমিক ভাবে কর্মীদের বকেয়া বেতনের ব্যবস্থা করবে। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে হাসি ফুটেছে হাসপাতালের কর্মীদের মুখে। প্রশাসন সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীরামপুরের মহকুমাশাসকের দফতরে তদারকি কমিটির একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে ছিলেন মহকুমাশাসক তথা কমিটির সভাপতি জয়সি দাশগুপ্ত এবং অন্য সদস্য রিষড়ার পুরপ্রধান শঙ্করপ্রসাদ সাউ, সিএমওএইচ তনিমা মণ্ডল এবং জেলাশাসকের প্রতিনিধি। কমিটির সহ -সভাপতি, শ্রীরামপুরের চিকিৎসক -বিধায়ক সুদীপ্ত রায় অবশ্য বৈঠকে ছিলেন না। পুরপ্রধান জানান, তিনি হাসপাতালের দায়িত্ব নিতে রাজি। একই কথা তিনি চিঠি লিখে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকেও জানিয়েছিলেন। এ দিন বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সেবাসদনের তহবিলের টাকা পুরপ্রধান ব্যবহার করতে পারবেন না। একমাত্র সই করার ক্ষমতা থাকবে মহকুমাশাসকের হাতে। নিজেদের উদ্যোগেই কর্মীদের বকেয়া মেটাতে হবে পুরসভাকে। মহকুমাশাসক বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য হাসপাতালের স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানো। আপাতত পুরসভা চালাবে। সরকারি অনুদানের জন্য গত বছরের অডিট প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে।”
|
গরিব শিশুদের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যশিবির বর্ধমানে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা পরিবারের হৃদযন্ত্রে ত্রুটি রয়েছে এমন শিশুদের চিকিৎসায় উদ্যোগী হয়েছে এক বেসরকারি সংস্থা। ১৪ বছর পর্যন্ত এই ধরণের শিশুদের পরীক্ষা করে অস্ত্রোপচার ও অন্যান্য চিকিৎসা করার উদ্দেশ্য ২৯ ডিসেম্বর, রবিবার বর্ধমানের তেলমারুই রোডের রোটারি সদনে সকাল ৯টা থেকে একটি শিবিরের আয়োজন করেছে তাঁরা। বাছাইয়ের কাজে যোগ দিচ্ছেন দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। ওই হাসপাতালেই চিহ্নিত শিশুদের হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই বেসরকারি সমাজসেবী প্রতিষ্ঠানের অন্যতম সদস্য সুমিত বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন সভাপতি গঙ্গাধর খান্ডলওয়াল বলেন, “বর্ধমান, গঙ্গারামপুর, শিলিগুড়িতে এমন শিবির করে আমরা অন্ততঃ ১২৫টি হৃদযন্ত্রে ত্রুটি থাকা শিশুদের খুঁজে তাদের অপারেশন করিয়ে সুস্থ করতে চাই। বর্ধমানের পরে অন্য জায়গাগুলিতে শিবির হবে।”
|
এড্স রোগীদের নিয়ে আলোচনা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বিধবা ভাতা থেকে বাড়ি তৈরির প্রকল্পসর্বত্রই এডস আক্রান্তদের অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা। বাস্তবে অবশ্য তা হয় না। বৃহস্পতিবার এডস আক্রান্তদের সমস্যা শুনতে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসে। সেখানে সে কথাই জানালেন আক্রান্তেরা। স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসনের কর্তাদের কাছে নিত্য কী কী সমস্যায় পড়তে হয়, তা -ও জানান এডস রোগীরা। সব শুনে সরকারি সুবিধায় বঞ্চিত ও সামাজিক সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন যাঁরা, তাঁদের আলাদা তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ ) পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরী বলেন, “ওই তালিকা পেয়ে বিডিওদের কাছে পাঠিয়ে দেব। সরকারি নিয়ম মেনে এডস আক্রান্তেরা যাতে প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ায় অগ্রাধিকার পান, তা দেখা হবে।” জেলা উপ -মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, “যাঁদের ক্ষেত্রে সামাজিক সমস্যা হচ্ছে, তাঁদের গ্রামে যাব। সচেতনতা শিবির করা হবে। স্থানীয় মানুষ, পঞ্চায়েত ও আক্রান্তের পরিজনের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হবে।”
|
আগামী বছর অনলাইনে মেডিক্যালে ভর্তির কাউন্সেলিং হবে। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডই তা করবে। বৃহস্পতিবার বোর্ডের একটি অনুষ্ঠানের পরে এ কথা জানান স্বাস্থ্য (শিক্ষা) অধিকর্তা। এ বার মেডিক্যালে দেশ জুড়ে অভিন্ন প্রবেশিকা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে আগামী বছর রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডই বরাবরের মতো মেডিক্যালে ভর্তির পরীক্ষা নেবে। ভর্তি হবে অনলাইনে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে। |