|
|
|
|
বকেয়া নিতে গিয়ে উধাও বধূ
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
প্রাপ্য টাকা আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন এক গৃহবধূ। একমাস পরেও তাঁর খোঁজ না পেয়ে কমিশনারের দ্বারস্থ হলেন ওই গৃহবধূর পরিবার। ২০ নভেম্বর ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির নকশালবাড়িতে। অভিযোগের তির নকশালবাড়ির মনোজ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নমিতা মণ্ডল নামে ওই বধূর বাড়ি নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়ি এলাকার শান্তিপাড়ায়। পুলিশ তদন্তে ঢিলেমি করছে বলে অভিযোগ তোলেন তাঁর স্বামী চঞ্চল মণ্ডল। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃহস্পতি বার সংশ্লিষ্ট থানায় ফোন করে দ্রুত অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগমোহন। কমিশনার হস্তক্ষেপ করায় আশার আলো দেখছে নিখোঁজ গৃহবধূর পরিবার। অভিযোগের বিষয়ে পুলিশি সক্রিয়তার দাবিতে কমিশনারের কাছে গিয়েছিলেন দার্জিলিং জেলা লিগাল এড ফোরামের সদস্যরাও।
পুলিশ কমিশনার এ দিন বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি আর দু’এক দিনের মধ্যেই সমস্যা সমাধান করতে পারা যাবে।” অন্য দিকে মূল অভিযুক্ত মনোজ চৌধুরী অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেছেন, “নমিতাদেবী আমার এখানে আসেননি। ওঁর কী হয়েছে তা আমি জানি না।” পরিবার সূত্রের খবর, গত ২০ নভেম্বর প্রাপ্য ১০ হাজার টাকা দিয়ে দেবেন বলে নমিতাদেবীকে ডাকেন মনোজবাবু। নমিতাদেবী সেই সময়ে তাঁর মেয়ে রূপাকে জানান তিনি নকশালবাড়িতে পাওনা ১০ হাজার টাকা আনতে যাচ্ছেন। এর পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ নমিতাদেবী ফের রূপাকে ফোন করে জানান, মনোজবাবু তাঁকে ৬ হাজার টাকা দিয়েছেন, আরও বাকি টাকা দেওয়ার জন্য তাঁকে অপেক্ষা করতে বলেছেন। এর পরে সাড়ে ৯ টা নাগাদ স্বামী চঞ্চলবাবুকেও ফোন করেন তিনি। চঞ্চলবাবু বলেন, “স্ত্রী আমাকে জানান, টাকা এখনও পুরো পাওয়া যায়নি। রাতে দেরি হয়ে যাওয়ায় হয়তো সেদিন রাতে ফিরতে পারব না। এরপর রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তাঁকে ফোন করলে তাঁর মোবাইল সুইচ অফ পাওয়া যায়। মোবাইল অফ হয়ে যায় মনোজেরও।” দুদিন পরে মনোজবাবুর মোবাইল খোলা পাওয়া যায়। ৯ হাজার ৭ শো টাকা নিয়ে নমিতাদেবী ওই দিনই চলে যান বলে তিনি চঞ্চলবাবুকে জানান বলে মনোজবাবুর দাবি। এর পরে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজার পরেও না পেয়ে নকশালবাড়িতে যান চঞ্চল। সেখানে মনোজবাবু জানান, তাঁর কাছে নমিতাদেবী আসেননি। এর পরেই ২৮ নভেম্বর বাধ্য হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন নিঁখোজ নমিতাদেবীর স্বামী। এরপরেও একমাসে কোনও অগ্রগতি না হওয়ায় ১৬ ডিসেম্বর পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। |
|
|
|
|
|