|
|
|
|
একশো দিনে গতি কম, বৈঠকে নিদান
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
মোটে আর তিন মাস বাকি। কিন্তু ২০১৩-‘১৪ অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত একশো দিন কাজের প্রকল্পে পুরুলিয়া জেলা গড়ে মাত্র ২০ দিন কাজ দিতে পেরেছে। রাজ্যের মধ্যে পঞ্চম স্থানে থাকা এই জেলায় অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার আগে কর্মদিবস বাড়াতে পথ খুঁজতে বসলেন আধিকারিক ও পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা।
গত সেপ্টেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন জেলা সফরে এসেছিলেন, তখন পুরুলিয়া জেলায় একশো দিন প্রকল্পে কাজের গড় ছিল ১৮ দিন। মুখ্যমন্ত্রী কাজের গতি বাড়াতে জোর দেওয়ার দু’মাস পরে তা নেমে যায় ১৬ দিনে। এখন তা কিছুটা উঠে ২০ দিনে পৌঁচেছে। কিন্তু তাও আশানুরূপ নয়। তাই বৃহস্পতিবার জেলার সব ক’টি পঞ্চায়েতের প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতিগুলির সভাপতি, বিডিও ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য গ্রামোন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব দিলীপকুমার পাল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) প্রকাশ পাল প্রমুখ। |
|
পুরুলিয়ায় তোলা নিজস্ব চিত্র। |
কাজের গতি বাড়াতে নিদান দিয়েছেন বিশেষ সচিবই। প্রধানদের তিনি বলেছেন, “শুধু কাজের জন্যই কাজ নয়, কাজের মাধ্যমে সম্পদ সৃষ্টিতেও নজর দিতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে সমন্বয়। তাহলেই বাড়বে কাজের গতি।” বৈঠকে দিলীপবাবু উদাহরণ দিতে গিয়ে জানিয়েছেন, গবাদি পশু এখানকার বড় সম্পদ। তাদের খাওয়ার জন্য মাঠে ‘দীননাথ ঘাস’ লাগানো যেতে পারে। মাটির উপরে ঘাস হলে একদিকে যেমন ভূমিক্ষয় রোধ হবে, অন্য দিকে গবাদি পশুর খাবারও হবে। শুধু ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানোই নয়, ফলের বাগানও করা যেতে পারে। তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় পাকা রাস্তা তৈরি করার আগে রাস্তাটি চওড়া করা হয়। মাটির সেই কাজ একশো দিনের প্রকল্প থেকেও করা যেতে পারে। এ জন্য বিভিন্ন দফতরের মধ্যে সমন্বয় রাখা প্রয়োজন।
বৈঠকের পরে কাশীপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেছেন, “কাজের গতি বাড়ানোর জন্য সমন্বয় বাড়ানো যে খুব দরকার, তা বিভিন্ন উদাহরণের মাধ্যমে আমাদের কাছে পরিষ্কার করে দিয়েছেন। এ বার বিভিন্ন দফতরকে নিয়ে এই প্রকল্পে যাতে গতি আসে সে জন্য আমরা আগাম পরিকল্পনার ক্যালেন্ডার তৈরি করব।” বৈঠকে দিলীপবাবু পরিকল্পনা তৈরির ব্যাপারে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে বলেন। বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুদীপ মাহাতো, রঘুনাথপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৃষ্ণ মাহাতো বলেন, “পরিকল্পনার জায়গাটাই আগে আমাদের মজবুত করতে হবে।” বলরামপুরের ঘাটবেড়া-কেরোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বরুণ রাজোয়াড় বলেন, “এ জন্যই প্রতিটি পঞ্চায়েতে আগে থেকেই সংসদ ভিত্তিক একাধিক প্রকল্প তৈরি করে রাখতে হবে।”
বৈঠক শেষে দিলীপবাবু বলেন, “এ দিন বৈঠকে মূল সুরটা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ বার ব্লকে ব্লকে এ ধরনের বৈঠক হবে। কাজে গতি বাড়াতে সমস্যা কোথায়, তা নিয়ে বিশদে আলোচনা হবে।” |
|
|
|
|
|