জেলারের সঙ্গে ‘অভব্য’ আচরণ, গ্রেফতার ১ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জেলারকে সংশোধনাগারে ঢুকতে বাধা দেওয়া ও তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে, হাওড়া সংশোধনাগারের ঘটনা। ধৃতের নাম বিপ্লব রায়। সংশোধনাগারের পাশেই তাঁর বাড়ি।
পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার রাত ১১টা নাগাদ গাড়িতে করে জেলার সন্দীপকুমার রায় সংশোধনাগারে ঢুকতে গেলে এক কারারক্ষী পার্থ কোলে গেট খুলতে চাননি বলে অভিযোগ। সন্দীপবাবুর আরও অভিযোগ, কেন গেট খোলা হবে না জানতে চাওয়ায় পার্থর শ্যালক বিপ্লব তাঁকে বাধা দিতে থাকেন ও গালিগালাজ শুরু করেন। এর পরেই হাওড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সন্দীপবাবু।
|
বিপ্লব রায়।
—নিজস্ব চিত্র। |
অভিযোগে জেলার জানিয়েছেন, সংশোধনাগারের গেটে তালা দিয়ে পার্থ ও বিপ্লব ভিতরে কোয়ার্টার্সে বসে নেশা করছিলেন। বিপ্লব বহিরাগত হয়েও কী ভাবে ভিতরে ঢুকেছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সন্দীপবাবু। অভিযোগ পাওয়ার পরে বুধবার রাতেই দু’জনকে আটক করে হাওড়া থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হলেও বিপ্লবকে গ্রেফতার করা হয়।
এই ঘটনার পরে এ দিন সকাল থেকে সংশোধনাগারের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কারারক্ষীরা। মূল ফটকের উপরেই সন্দীপবাবুর কোয়ার্টার্স। বঙ্গীয় কারারক্ষী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লিপন কর অভিযোগ করেন, বুধবার রাতে পার্থর গেট খুলতে দেরি হওয়ায় তাঁকে ঠেলে ফেলে দেন জেলার। পরে তিনি পার্থকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। বিক্ষোভকারী কারারক্ষীদের অভিযোগ, প্রায়শই নিজের কোয়ার্টার্সে নতুন মহিলা নিয়ে আসেন জেলার। তারই প্রতিবাদ করা হত। নিপনবাবু বলেন, “এই সমস্ত অন্যায়ে বাধা দেওয়া হত বলেই উনি নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে রক্ষীকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।” যদিও সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করে সন্দীপবাবু বলেন, “এক জন কারারক্ষী নেশা করে মাতলামি করছিল। তাই পুলিশকে জানিয়েছি।” অন্য দিকে, কারারক্ষী সমিতির পক্ষ থেকেও পুলিশের কাছে সন্দীপবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ওই জেলার আইন ভেঙে নিজের গাড়িতে লালবাতি লাগিয়েছেন। এ দিন হাওড়ার একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যের কারামন্ত্রী হায়দার আজিজ সফি বলেন, “বিষয়টি জানি না। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখব।” |