|
|
|
|
লোকসভার প্রস্তুতি শুরু করল আপ
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
২৬ ডিসেম্বর |
প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল, দিল্লি বিধানসভায় ভাল ফল করা। সেটা হয়েছে। পরের ধাপে লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল করার জন্য এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছেন আপ নেতৃত্ব। দলের নেতা যোগেন্দ্র যাদবের বক্তব্য, “বহু সৎ মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ভরসা রাখতে না পেরে সরে গিয়েছিলেন। আপ-এর উত্থান তাঁদের মধ্যে উৎসাহ জুগিয়েছে। তাই আমরা আর দেরি করতে চাইছি না।” ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লোকেরা নির্বাচনে দাঁড়াবে বলে আপ নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানাতে শুরু করেছেন। সেই আবেদনের মধ্যে থেকে উপযুক্ত প্রার্থী বাছাই করাও যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। আপাতত দলের রাজনীতি বিষয়ক কমিটির সদস্য পঙ্কজ গুপ্ত ও সঞ্জয় সিংহের নেতৃত্বে একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে যাদের উপর প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব দিয়েছে দল। প্রার্থীদের সার্বিক যোগ্যতা ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে।
দলের একাংশের অবশ্য বক্তব্য ছিল, শপথ গ্রহণের পর নতুন বছরের শুরু থেকে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হোক। সেই অনুরোধ পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছেন খোদ অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন, দিল্লি ছাড়াও, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে আপ। এ ছাড়া প্রার্থী দেওয়া হবে গুজরাতে।
দুর্নীতির প্রশ্নে কোনও আপস করা হবে না বলে আজ ফের দাবি করেছেন কেজরিওয়াল। দিল্লি প্রশাসনের ‘সৎ’ আমলাদের তাঁর সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। “দিল্লির মানুষের সমস্যা মেটাতে যদি আন্তরিক হন, তা হলে এসএমএস বা ই-মেলের মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।” কোনও আমলা সৎ কিনা, সে বিচার কী ভাবে হবে? কেজরিওয়াল বলেন, “আমাদের নিজস্ব নেটওয়ার্ক রয়েছে। আমরা ঠিক জেনে নেব।”
দিল্লি বিধানসভার স্পিকার কে হবেন, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ কেজরিওয়াল স্পষ্ট করে দিয়েছেন কংগ্রেস আপকে সমর্থন করলেও তাঁদের মধ্যে থেকে কাউকে স্পিকার করা হবে না। অন্য দিকে বিধানসভায় বড় দল হিসাবে বিজেপি চাইছে তাঁদের বিধায়ক জগদীশ মুখিকে ওই পদে বসাতে। বিজেপির দাবি কেজরিওয়াল মেনে নেন কি না, সেটাই এখন দেখার। |
|
|
|
|
|