প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন স্থায়ী উপাচার্য বাছাইয়ের জন্য সার্চ বা সন্ধান কমিটি গড়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তার মধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে, প্রেসিডেন্সিকে বিশ্ব মানের বিশ্ববিদ্যালয় করে তোলার জন্য বিদেশ থেকে উপাচার্য আনা হতে পারে। নিছক জল্পনা নয়, ঘরোয়া আলোচনায় মেন্টর গ্রুপের তরফে রাজ্য সরকারকে এমন একটি প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বৃহস্পতিবার জানান।
এই ব্যাপারে মন্ত্রী অবশ্য বিশদ ভাবে কিছু বলতে চাননি। তিনি জানান, এই বিষয়ে যা করার সন্ধান কমিটিই করবে। ব্রাত্যবাবু বলেন, “বিদেশ থেকে উপাচার্য আসবেন কি না, সেই ব্যাপারে সরকারের কিচ্ছু বলার নেই। সার্চ কমিটি তৈরির পরে তারাই যা প্রস্তাব দেওয়ার দেবে। কমিটি এমন কোনও প্রস্তাব দিলে তখন বিবেচনা করে দেখা হবে।”
অবসরের পরেও মালবিকা সরকারকে প্রেসিডেন্সির পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত রাখার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আগেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। এ দিন তিনি জানান, উপাচার্যের পদে মালবিকাদেবীর কার্যকাল ফুরোনোর আগেই নতুন উপাচার্য বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলা হবে। মালবিকাদেবীর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি।
শিক্ষামন্ত্রী এ দিন আচার্য-রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তার পরে নতুন উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে তাঁদের পরিকল্পনার কথা জানান। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্থায়ী উপাচার্য বাছাইয়ের জন্য সার্চ বা সন্ধান কমিটি গড়তে আচার্য-রাজ্যপাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের মনোনীত সদস্যদের নাম জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ দিন রাজভবনে আচার্য-রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করে বেরিয়ে ব্রাত্যবাবু বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব ওঁর মনোনীত সদস্যের নাম জানানোর জন্য রাজ্যপালকে অনুরোধ করা হয়েছে।” তিনি জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন উপাচার্য বাছাই করা হবে। ওই সময়ের মধ্যে কী ভাবে কাজটি সেরে ফেলা যায়, সেই বিষয়ে এ দিন রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে।
সোমবার প্রেসিডেন্সির মেন্টর গ্রুপের চেয়ারম্যান সুগত বসুর সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে। সে-দিনও ব্রাত্যবাবু বলেছিলেন, মালবিকাদেবীর কার্যকাল শেষ হওয়ার আগেই নতুন উপাচার্য বাছাই করে ফেলা হবে। প্রেসিডেন্সির প্রথম ‘স্ট্যাটিউট’ বা বিধির খসড়া নিয়েও সে-দিন সুগতবাবুর সঙ্গে আলোচনা হয় শিক্ষামন্ত্রীর। খসড়াটি সম্প্রতি রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরে জমা পড়েছে।
এ দিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে ব্রাত্যবাবু বলেন, “প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষ যে বিধির খসড়া তৈরি করে ফেলেছেন, সে-কথা আচার্যকে জানালাম। বিধির নানা দিক নিয়েও আলোচনা হয়েছে ওঁর সঙ্গে।”
|