প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্থায়ী উপাচার্য বাছাইয়ের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি গড়ছে রাজ্য সরকার। কমিটির জন্য সদস্যদের নাম চেয়ে ইতিমধ্যে রাজ্যপাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তা পাওয়া গেলে সরকারি সদস্যর মনোনীত করে কমিটি চূড়ান্ত করে ফেলা হবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। প্রেসিডেন্সির বর্তমান উপাচার্য মালবিকা সরকারের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের
১৩ ফেব্রুয়ারি।
বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পরে প্রেসিডেন্সির প্রথম উপাচার্য নিযুক্ত হয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের শিক্ষিকা অমিতা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর এক বছরের কার্যকালের মেয়াদ ফুরনোর পরে, ২০১১-য় দায়িত্ব নেন মালবিকাদেবী। এ বছরের ১৩ অগস্ট তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। ১৫ অগস্ট মালবিকাদেবীর ৬৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, ৬৫ পেরোলে আর উপাচার্য থাকা যায় না। তাই প্রেসিডেন্সির নতুন অস্থায়ী উপাচার্য বাছাই করতে রাজ্য সরকার জুলাইয়ে একটি সার্চ কমিটি গড়ে। তাতে ছিলেন উচ্চশিক্ষা সংসদের তৎকালীন চেয়ারম্যান সুগত মারজিৎ, আইএসআইয়ের শিক্ষক অভিরূপ সরকার এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।
কিন্তু মেন্টর গ্রুপকে না জানিয়ে সার্চ কমিটি গড়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। মেন্টর গ্রুপের চেয়ারম্যান সুগত বসু তখন দাবি করেছিলেন, উপাচার্য বাছাইয়ের কাজ তাঁদেরই। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রিপোর্ট পাঠিয়ে মেন্টর গ্রুপ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি ও উন্নতির স্বার্থে উপাচার্য হিসেবে মালবিকাদেবীর মেয়াদ বাড়ানো হোক। শেষ পর্যন্ত আচার্য-রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের হস্তক্ষেপে মালবিকাদেবীর কার্যকালের মেয়াদ ছ’মাসের জন্য বাড়ানো হয়।
এ দিন এক অনুষ্ঠানের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ব্রাত্যবাবু জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে মেন্টর গ্রুপের কাছে সার্চ কমিটির সদস্যের নাম চাওয়া হয়েছে। অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে ডিসেম্বরের মধ্যে নাম পাঠানো হয়। তবে জুলাইয়ের সার্চ কমিটির অস্তিত্ব আর থাকবে না
বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। মালবিকাদেবীর প্রতিক্রিয়া, “অত্যন্ত সুখবর! আমি তো বছরের পর বছর ওই পদে থাকতে পারি না!” |