নির্বাচন ও বিরোধীদের ঢাকা চলো কর্মসূচির আগে সেনা নামল বাংলাদেশে। বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়াকে তাঁর বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। তবে তা মানতে রাজি নয় সরকার।
সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অসামরিক প্রশাসনকে সাহায্য করতে বাহিনী পাঠানো হয়েছে। ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে কাজ করবে সেনা। প্রথমে জেলা সদর, পরে জেলা, উপ-জেলা ও মেট্রোপলিটান এলাকাতেও সেনা মোতায়েন হবে। নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র এস এম আসাদুজ্জামান জানান, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার ৫৯টিতেও সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা হবে।
গত তিন মাসে বিরোধীদের দেশ জোড়া অবরোধ কর্মসূচির সময়ে ব্যাপক হিংসা দেখেছে বাংলাদেশ। আজও রাজশাহিতে সন্দেহভাজন বিএনপি ও জামাতে ইসলামি কর্মীদের হামলায় ৯ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। কুম্মিলার লাকসাম উপ-জেলায় চিফ এক্সিকিউটিভের অফিসও পুড়িয়ে দিয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। গত সপ্তাহেই সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন নামিয়েছিল শেখ হাসিনা সরকার। সাতক্ষীরা, সিরাজগঞ্জ ও চট্টগ্রাম থেকে বেশ কিছু বিরোধী কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মূল সড়ক ও যে সব এলাকায় বেশি অশান্তি হয়েছে সেগুলি পাহারা দিচ্ছেন তাঁদের জওয়ানরা। শীতে বাৎসরিক অনুশীলনের সময়েই সড়ক ও বিভিন্ন উপদ্রুত এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছিল জওয়ানদের। এখনও সেই দায়িত্বেই থাকবেন তাঁরা। অসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষার জন্য একটি ‘কেন্দ্রীয় সমন্বয় সেল’ তৈরি করা হয়েছে।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের হাতে দেশের ভার দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল বিএনপি-সহ ১৮ দলের বিরোধী জোট। সে দাবি মানেনি শেখ হাসিনার সরকার। তখনই শুরু হয় বিরোধ।
২৯ ডিসেম্বর ‘ঢাকা চলো’-র ডাক দিয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু তার আগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে কার্যত গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে দাবি তাঁর দলের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কোনও দলীয় কর্মী বা দশনার্থীকে খালেদার বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
গত কাল গভীর রাতে খালেদার বাড়ির কাছ থেকে বিএনপি সাংসদ শাম্মি আখতার ও আরও তিন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ আটক হয়েছেন বিএনপি নেতা ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মেহবুবউদ্দিন খোকন।
খালেদাকে গৃহবন্দি করার কথা মানতে চায়নি প্রশাসন। পুলিশ কমিশনার বেনজির আহমেদের বক্তব্য, “সকলের নিরাপত্তার জন্য যা করা দরকার তা-ই করছি।” |
এলিজাবেথের পশমের কোট নিয়ে বিতর্ক
সংবাদ সংস্থা • লন্ডন |
রানির গায়ে পশমের কোট! আর তা ঘিরেই সমালোচনায় মুখর ‘পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অব অ্যানিম্যালস’ (পেটা)। ছোট্ট জর্জের প্রথম বড়দিনটিকে আরও বেশি স্মরণীয় করে তুলতে সাধের গেরুয়া রঙা পশম কোটটি গায়ে দিয়েছিলেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। আর তা নিয়েই শুরু বিতর্ক। পেটার দাবি, পশমে মোড়া কোট গায়ে দিয়ে ব্রিটেনের রানি নৃশংসতার পরিচয় দিয়েছেন। কোনও সভ্য সমাজে এ হেন আচরণ মোটেই কাম্য নয়। এলিজাবেথের সমালোচনায় টেনে আনা হয়েছে যুবরানি ডায়ানার নামও। ‘পেটা’-র মুখপাত্র এ দিন বলেছেন, “নিদেন পক্ষে ডায়ানার থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ছিল রানির। শিকার তো দূরঅস্ত, সারাজীবন নিরামিষ খাবার খেয়েছেন ডায়ানা।” |