গত দু’বছর ধরে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বা কলা বিভাগে কোনও ডিন নেই। কর্ম সমিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্ব নেই। ফলে, শিক্ষা সংক্রান্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ বিলম্বিত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (বুটা)। সোমবার এ নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গেও দেখা করেছেন তাঁরা। উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
ওই সংগঠনের কার্যকরী সমিতির সদস্য পার্থ মিত্র, হরিহর ভট্টাচার্যদের অভিযোগ, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ম সমিতিতে ১৮ জন নতুন সদস্য মনোনীত হয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে থেকে এই কর্ম সমিতিতে কোনও প্রতিনিধি নেওয়া হয়নি। প্রায় দু’বছরের বেশি ১৪টি শিক্ষক প্রতিনিধি পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। কিছু কলেজ শিক্ষক ও অধ্যক্ষ এই কর্ম সমিতিতে মনোনীত হলেও, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রায় কাউকেই তাতে আনা হয়নি। ফলে, নানা সমস্যা উপেক্ষিত থাকছে।” তাঁদের দাবি, নির্বাচন না করার জেরেই ১৪টি পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দু’বছরে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হননি বলে তাঁদের অভিযোগ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ডিন (কলা) অরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “টানা দু’বছর ধরে বর্ধমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা বা বিজ্ঞান বিভাগে কোনও ডিন নেই। কলা বিভাগে আমি ও বিজ্ঞান বিভাগে বিষ্ণুচরণ সরকার ডিন ছিলেন। আমাদের মেয়াদ প্রায় দু’বছর আগে শেষ হয়। তার পরে এখনও নতুন ডিন বাছা হয়নি। বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপকদের ভোটে ওই দুই পদাধিকারী নির্বাচিত হতেন। কিন্তু এত দিন ধরে নির্বাচন হয়নি।” বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, আইন অনুযায়ী ডিনের পদ খালি রাখা যায় না। ডিন নির্বাচনে কোনও সমস্যা থাকলে বিভাগের সবচেয়ে সিনিয়র শিক্ষককে সেই দায়িত্ব অস্থায়ী ভাবে পালন করতে বলা যেতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা হয়নি।
পদোন্নতি আটকে থাকার অভিযোগেও সরব হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। বুটা-র সম্পাদক অভিজ্ঞান দত্ত বলেন, “২০০৯ সালের জুন থেকে ২০১২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত কেরিয়ার অ্যাডভান্স স্কিম-এর বিধি অনুসারে শিক্ষকদের পদোন্নতি হয়নি। এই বিধি অনুসারে পদোন্নতি পেতে গেলে শিক্ষকদের বিভিন্ন যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের অভিজ্ঞতাও দেখা হয়।” তাঁর অভিযোগ, “২০০৯ সালের জুন থেকে এই ধরনের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে এক ঝাঁক শিক্ষক পদোন্নতির আশায় বসে ছিলেন। ২০১২ সালের অক্টোবরের পরে পদোন্নতি সংক্রান্ত কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যতটা পদোন্নতি হওয়ার কথা ছিল, নিয়ম মেনে তা হচ্ছে না।” বুটা-র তরফে দাবি, উপাচার্য তাঁদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন।
উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার বুটা-র অভিযোগগুলি সম্পর্কে কোনও কথা বলতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, “আমার সঙ্গে প্রতিনিধিদের বিস্তারিত আলোচনার পরেও বুটা-র স্মারকলিপিটি সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে পারব না।”
অশালীন আচরণের নালিশ। এক দন্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ আনলেন এক মহিলা। পাণ্ডবেশ্বরের ডালুরবাঁধের বাসিন্দা ওই মহিলা বুধবার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, তিনি চিকিৎসকের কাছে দাঁত দেখাতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, ওই চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করার নাম করে অশালীন আচরণ করেন। ওই চিকিৎসক অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পাণ্ডবেশ্বর পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। |