জিটিএ চিফ পদে আজ বৃহস্পতিবার শপথ নেবেন বিমল গুরুঙ্গ। কলকাতায় রাজভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বিমল গুরুঙ্গ ইতিমধ্যেই কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছে। গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক ভাবে জিটিএ-এর চিফ পদে নির্বাচিত হওয়ার পরে গুরুঙ্গ জানিয়েছিলেন, মূলত শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পর্যটনকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এদিন দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরিও কলকাতা থেকে জানিয়েছেন, “উন্নয়নের লক্ষ্যেই জিটিএ-এর চিফের দায়িত্ব নিয়েছেন বিমল গুরুঙ্গ। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বেশ কিছু ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য রয়েছে। পাশাপশি পাহাড়ের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য পর্যটনকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।” গুরুঙ্গের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে রোশন গিরিও বুধবার কলকাতায় পৌঁছেছেন। দার্জিলিঙে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গড়া, কারিগরি শিক্ষা কেন্দ্র সহ অনান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনেও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে এ দিন রোশন গিরি জানিয়েছেন। মোর্চার অন্দরে খবর, বেশ কিছু পদে অস্থায়ী এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রক্রিয়াও দ্রুত শুরু হবে। গুরুঙ্গ-ই সেই ঘোষণা করবেন বলে জানা গিয়েছে।
|
জেলায় গিয়ে কমিশন-কাণ্ডে এ বার দলের মধ্যেই ক্ষোভের মুখে পড়তে হল ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রবীণ রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষকে। দলত্যাগী নেতা সরল দেবকে ফেরানোর সম্ভাবনা বিবেচনার জন্য কমিশন গড়ে দলীয় নেতৃত্ব কেন উচ্ছঙ্খৃলতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন, অশোকবাবুর সামনেই প্রশ্ন তুলেছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্ব। দলের রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ কেন দলত্যাগী বা বিক্ষুব্ধ নেতাদের কার্যকলাপে মদত দিয়েও ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়েও ক্ষোভের কথা জানানো হয় রাজ্য সম্পাদককে। অশোকবাবু আশ্বাস দিয়েছেন, কোনও সিদ্ধান্তই চাপিয়ে দেওয়া হবে না। প্রয়াত সাংসদ চিত্ত বসুর জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর নামে সংগ্রহশালা উদ্বোধন করতে বুধবার অশোকবাবু যান বারাসতে। যান বারাসত উৎসবের মঞ্চেও। সেই সুযোগেই কমিশন গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন ফব-র জেলা সম্পাদক হরিপদ বিশ্বাস। তাঁর বক্তব্য, যে ধরনের কার্যকলাপ সরলবাবুর অনুগামীরা করেছেন, তার পরেও অন্য কিছু ভাবনার মানে দলেরই ক্ষতি করা। এই ধরনের কার্যকলাপের মদতদাতাদের পাশে কেন দাঁড়ানো হবে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। চিত্তবাবুর নামে এখন সরলবাবুরা স্মৃতিরক্ষা কমিটি গড়লেও তাঁদের অতীতের কিছু কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ও। চাপের মুখে পড়ে অশোকবাবু অবশ্য বলেন, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্ব যে ভাবে কাজ করছেন, তাতে বিঘ্ন ঘটিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হবে না। তাঁর এ দিনের আশ্বাসের পরে চলতি সপ্তাহেই রাজ্য কমিটির বৈঠকের দিকে নজর রাখছে দলের বড় অংশ।
|
মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে সরকারি অফিসার ও কর্মীদের সচেতন করতে এ বার জেলায় জেলায় কর্মসূচি নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশন। কাল, শুক্রবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে এই কর্মসূচির সূচনা হবে। একদিনব্যাপী ওই সচেতনতা কর্মসূচিতে কর্মক্ষেত্রে নারীদের যৌন হেনস্থা, নারী পাচার, খাদ্যের অধিকার, শিশু শ্রমিক সম্পর্কিত নীতি, স্বাস্থ্যের অধিকার-সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় যোগ দেবেন জেলার পুলিশ, প্রশাসন ও কমিশনের আধিকারিকেরা। নদিয়ার পরে জানুয়ারিতে বীরভূম ও মুশির্দাবাদ, ফেব্রুয়ারিতে দার্জিলিং এবং মার্চ মাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশ মেনে এই ধরনের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের রেজিস্ট্রার রবীন্দ্রনাথ সামন্ত জানিয়েছেন, মানবাধিকার আইনের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি ও মানবাধিকার রক্ষা নিয়ে কী করণীয়, সে ব্যাপারে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের সজাগ করা হবে। |