কোন সংযোগ নিলে দিনে বা রাতে কত সেকেন্ড ফ্রি, কোন প্যাকেজে করা যাবে কতগুলি এসএমএস এই নিয়ে প্রচারে খামতি নেই সরকারি থেকে বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি। এ সব নিয়ে মাইকে প্রচার, ব্যানারে ছড়াছড়ি পৌষমেলা প্রাঙ্গণ। এমনকী পর্যটকদের গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য রয়েছে অভিনব বিনি পয়সায় রিকশায় চেপে যাওয়ার সুযোগ। তবু পৌষমেলায় ঢুকলেই টাওয়ার যাচ্ছে বিগড়ে। প্রয়োজনে ফোন করে অন্য কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না পর্যটকেরা। বাইরে থেকেও যাঁরা তাঁদের ফোন করছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা ‘ফোনটি পরিষেবা সীমার বাইরে’। টেলিকম সংস্থাগুলির কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, একটি ছোট জায়গায় একই সময়ে এক সঙ্গে এত সংযোগ দিতে দিতে তো সার্ভারই ডাউন হয়ে যাচ্ছে। |
চুরি যাওয়া নোবেল পদক উদ্ধার হয়নি। রবীন্দ্রভবনে তার জায়গা নিয়েছে প্রতিকৃতি। তাই দেখতেই ভিড় করেছেন বহু পর্যটক। কিন্তু সকলে ভিড়ের চাপে তা দেখারই সুযোগ পাচ্ছেন না। তাই বলে কি নোবেল না দেখে ফিরে আসা যায়? তাই উঁকি মারছেন পৌষ মেলায় তথ্য সংস্কৃতি দফতরের স্টল বা বৈদ্যবাটি উৎসব ও মেলা কমিটির স্টলগুলিতে। ওই সব স্টলেই তো পাওয়া যাচ্ছে ঠাকুর পরিবারের ছবি এবং নোবেল সম্পর্কিত নানা তথ্য। কিন্তু কেউ কেউ বলছেন, “আসল নোবেল তো হাওয়া। প্রতিকৃতি দেখে আর কী হবে! তাই না হয় ছবিই দেখি!” |
কথায় আছে, পৌষ পার্বণে পিঠেপুলি। পৌষ মেলায় এই বার কদর বেড়েছে পিঠেপুলির। স্বাদ নিতে ভিড় করছেন বিদেশিরাও। ইলামবাজার, বোলপুর-শান্তিনিকেতন ছাড়াও নদিয়া, নবদ্বীপ থেকেও দোকানিরা এসেছেন। এতে সামিল স্বনির্ভর দলের মহিলারাও। দেদার বিকোচ্ছে পাটিসাপটা, ভাজা পিঠে, দুধ পিঠে, ঢুকি ও সরু চাকুলি, আসকে পিঠে। নামে নামে এবং গন্ধে চারদিক ম-ম করছে। এরই মাঝে রসনার তৃপ্তিতে মুগ্ধ পোল্যান্ডের জনৈক রবীন্দ্র অনুরাগী আবার রেসিপির নোট নিচ্ছেন বিক্রেতাদের কাছে। |