|
|
|
|
নদীতীরে বনভোজনে মাতল আট থেকে আশি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বড়দিনের ছুটিতে বনভোজনে মেতে উঠল আট থেকে আশি। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের পরিচিত গেঁওখালি, কোলাঘাটের মতো ‘পিকনিক স্পট’গুলি ছাড়াও রূপনারায়ণ, হলদি ও কাঁসাইয়ের পাড়গুলো ছিল চড়ুইভাতি দলের দখলে। তমলুক থেকে কোলাঘাট পর্যন্ত রূপনারায়ণ, হলদি নদীর তীরে মহিষাদলের হরিখালি, হলদিয়ার বালুঘাটা, নন্দকুমারের নরঘাট আর কাঁসাই নদীর তীরে ময়না, পাঁশকুড়ার বিভিন্ন স্থানে বনভোজনের আসর বসে। |
তমলুকে রূপনারায়ণের তীরে রান্নাবান্নার
তোড়জোড়। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
বড়দিনে চড়ুইভাতি এগরায়।
ছবি: কৌশিক মিশ্র। |
|
এদিন সকালে তমলুক শহরের স্টিমার ঘাট, পায়রাটুঙ্গি, শোলো ফুকার গেট এলাকায় রূপনারায়ণ নদীর তীরে কয়েকশো পিকনিকের দল ভিড় জমায়। নদীতীর লাগোয়া বুদ্ধ পার্কেও পিকনিক করেন অনেকে। রূপনারায়ণের সদ্য বোল্ডার বাঁধানো নদীতীরের পাশে অস্থায়ী ছাউনি টাঙিয়ে দিনভর রান্নাবান্না। পাশেই কচিকাঁচাদের সঙ্গে ক্রিকেট, টেনিস খেলছে বড়রা। কোথাও উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে চলছে নাচগান। কোথাও আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা। তমলুক শহরের স্টিমারঘাটের কাছে রূপনারায়ণের তীরে বন্ধুদের সঙ্গে বনভোজনে এসেছিলেন রাধামনির বাসিন্দা কলেজ পড়ুয়া শোভন দাস, দীপক মাইতি, তমাল সামন্তরা। জনা দশেক বন্ধু মিলে বনভোজন করছেন। শোভন বলেন, “বড়দিনে রূপনারায়ণের তীরে এই জায়গাটায় পিকনিক করার জন্য কয়েকদিন আগেই বন্ধুদের মধ্যে যোগাযোগ করেছিলাম। সবাই রাজি হওয়ায় চলে এলাম। সাত-সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছি।”
দিনভর হইহুল্লোড়। রূপনারায়ণেরই তীরে সপরিবারে বনভোজনে এসেছে তমলুকের পদুমবসানের চঞ্চল মাইতির পরিবারের ৩৫ জন সদস্য। চঞ্চলবাবু বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে এই দিনটা রূপনারায়ণের তীরে এসে বাড়ির সকলে মিলে পিকনিক করছি। এ বার ভিড়টা একটু বেশি।” |
|
|
|
|
|