|
|
|
|
রাস্তা সংস্কারে দুই কোটি চাইল জেলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জেলার বহু গ্রামীণ রাস্তা সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে। পিচ উঠে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। বন্যার পরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এ বার তাই রাস্তা সংস্কারে তৎপর হল জেলা পরিষদ। মোট ৪৫টি রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রায় ২ কোটি টাকা চেয়ে রাজ্যের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অর্থ চাওয়া হয়েছে আরআইডিএফ প্রকল্পে। অর্থ মঞ্জুর হলে প্রায় ২৫৫ কিমি রাস্তা সংস্কার হবে। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি বলেন, “বেশ কয়েকটি গ্রামীণ রাস্তা সংস্কার করা জরুরি। ইতিমধ্যে আমরা রাজ্যের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে।”
কাল, শুক্রবার মেদিনীপুরে আসছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর কাছেও সমস্যার কথা জানানো হবে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে খবর। রাস্তা সংস্কারে আরও অর্থ চেয়ে দরবার করা হবে। মেদিনীপুরে এসে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। উপস্থিত থাকবেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সুশান্ত চক্রবর্তী, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি প্রমুখ। থাকবেন অন্য আধিকারিকেরাও।
বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গত অক্টোবরে জেলায় এসেছিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। গিয়েছিলেন ঘাটাল-দাসপুরে। তখন তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ‘বন্যার জল নেমে গেলে এক ইঞ্চি রাস্তাও কাঁচা থাকবে না। সব পিচের হবে। জেলায় পরিকল্পনা হবে। আমার দায়িত্ব অর্থ জোগান দেওয়া।’ কালীপুজোর পরে জেলায় আসার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কালীপুজোর পরপরই আসা সম্ভব হয়নি। তবে বছর শেষের আগে জেলায় আসছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। সুব্রতবাবুর সফর ঘিরে ইতিমধ্যে মেদিনীপুরে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, যে ৪৫টি রাস্তা সংস্কারে অর্থ চেয়ে রাজ্যের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বিনপুর ১ ব্লকের সালুকা থেকে রামগড়, বিনপুর ২-এর চাকাডোবা থেকে বাঁশপাহাড়ি, দাঁতন ২-এর গড়হরিপুর থেকে এগরা সীমানা, দাসপুর ১ ব্লকের রাজনগর থেকে বেলতলা, ডেবরার চন্দনপুর থেকে ঘোষপুর, ঝাড়গ্রামের কলাবনি থেকে আগুইবনি, কেশপুরের আমড়াকুচি থেকে মহিষদা, মেদিনীপুর সদরের শিয়ালসাই থেকে হরিপুর, পিংলার গোবর্ধনপুর থেকে পিণ্ডরুই, সবংয়ের মোহাড় থেকে বিষ্ণুপুর, শালবনির ভাদুতলা থেকে কর্ণগড় প্রভৃতি। সব মিলিয়ে রাস্তার পরিমাপ ২৫৫.৫ কিলোমিটার। টাকা চাওয়া হয়েছে ২ কোটি ৩ লক্ষ ৩০ হাজার। জরুরি ভিত্তিতে কোন কোন রাস্তা সংস্কার হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এ বার কবে অনুমোদন মেলে, সংস্কার কাজ শুরু হয়, সে দিকেই সকলে তাকিয়ে। |
|
|
|
|
|