পঞ্চায়েত ভোটের খারাপ ফলের পরে কোচবিহারে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে দিয়ে জনসভা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম। আগামী ১১ জানুয়ারি কোচবিহার শহরে রাসমেলার মাঠে এই সভা হবে। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অনন্ত রায় বলেন, “প্রশাসনকে সভার বিষয়টি জানানো হয়েছে। প্রচার শুরু করা হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ হবে। সভায় তৃণমূলের অপশাসনের জবাব মানুষ দেবে। আর কোথাও যদি আমাদের কর্মী, সমর্থকদের প্রচার বা সভায় আসতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তার দায়িত্ব প্রশাসন নেবে।”
বস্তুত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিভিন্ন এলাকায় মিটিং, মিছিলেও তেমন লোকজন আনতে পারেনি সিপিএম তথা বামেরা। জেলার বহু জায়গাতেই সিপিএম পার্টি অফিসগুলি বন্ধ পড়ে রয়েছে। এই অবস্থায়, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে জনসভা করিয়ে কোচবিহারে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সিপিএম। তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “সিপিএম তথা বামফ্রন্টের রাজ্যের নেতাদের মানুষ প্রত্যাখান করেছে। তাই পাশের রাজ্য থেকে ভাড়া করে মুখ্যমন্ত্রী এনে সভা করার পরিকল্পনা নিয়েছে। মানুষ এটা প্রত্যাখান করবে।”
কোচবিহার জেলায় বর্তমানে জেলা পরিষদ-সহ অধিকাংশ পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন তৃণমূলের দখলে রয়েছে। কংগ্রেস এবং বামেদের অনেক জয়ী সদস্যও দলবদল করেছে। দিনহাটা, সিতাই, কোচবিহার-১, শীতলখুচি, তুফানগঞ্জ সহ বহু এলাকাতে বামেদের কর্মসূচি কার্যত দেখাই যায় না। একমাত্র ব্যতিক্রম মেখলিগঞ্জ। এই অবস্থায় জেলায় ১১ জানুয়ারির কর্মসূচি নিয়ে কর্মী, সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করার চেষ্টায় নেমেছেন বাম নেতারা। সভায় কোচবিহার লোকসভা আসনের বামেদের সম্ভাব্য প্রার্থী দীপক রায়ও উপস্থিত থাকবেন। ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “সভা সফল হবেই।” |