উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল পঞ্চায়েত এলাকার ভৈরবী মন্দির ও বালিয়া মসজিদ কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র গড়তে উদ্যোগী রাজ্যের পর্যটন দফতর। সম্প্রতি, রাজ্য পর্যটন দফতরের তরফে জেলা প্রশাসনকে এ জন্য সাড়ে ৭৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে কাজ শুরু হয়েছে।
প্রায় তিন বছর আগে প্রশাসনের একটি সমীক্ষায় ভৈরবী মন্দির এবং বালিয়া মসজিদকে কেন্দ্র করে জেলায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে বলে তথ্য উঠে আসে। পর্যটকরা সারা বছর ওই দুই ঐতিহাসিক জায়গা দেখতে ভিড় জমান। জেলাশাসক পাসাং নরবু ভুটিয়া বলেন, “ওই সমীক্ষাটির পরেই ভৈরবী মন্দির এবং বালিয়া মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি পর্যটনকেন্দ্র গড়ার জন্য পর্যটন দফতরে প্রস্তাব পাঠানো হয়। মাস খানেক আগে টাকা এসেছে। পাশাপাশি, প্রথম পর্যায়ের কাজের জন্য প্রশাসনকে টাকাও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।” রায়গঞ্জের বিডিও অমূল্যচন্দ্র সরকার ও রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলি জানিয়েছেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। জানুয়ারিতে পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে যাবে। ছয় মাসে কাজ শেষ করা হবে।
ছ’শো বছর আগে রাজা গণেশ এলাকায় নিজের প্রভাব বজায় রাখতে বিন্দোল এলাকায় চুন ও সুরকি দিয়ে ভৈরবী মন্দির গড়ে তোলেন। মন্দিরের ভিতরে তিন ফুট উঁচু কষ্টি পাথরের সূর্যমূর্তির প্রতিষ্ঠা করা হয়। ভিতরে ও বাইরে নকশা, কলা খোদাই রয়েছে। মন্দিরের দেবতা জাগ্রত এবং সেখানে পুজো দিলে পরে মনস্কামনা পূরণ হয়, এমন বিশ্বাসে প্রতিদিন উত্তরবঙ্গের নানা জেলা সহ বিহার থেকেও প্রচুর মানুষ মন্দিরে আসেন। মন্দির থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যেই প্রায় ৫০০ বছর আগে বুরহানা ফকিরের তৈরি বালিয়া মসজিদ। সংস্কারের অভাবে ইঁট-চুন-সুরকির তৈরি ওই মসজিদটিও জীর্ণ হয়ে পড়েছে।
নয়া পরিকল্পনায় পর্যটক-সুবিধায় ভৈরবী মন্দির সংলগ্ন এলাকায় দুটি শৌচাগার, বিশ্রামাগার, পানীয় জল, ও আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সীমানা পাঁচিল তৈরি-সহ মন্দির লাগোয়া প্রায় ১০০ মিটার এলাকায় রাস্তা, বাগানে ও বিভিন্ন রঙের পিলার বসানো হবে। বালিয়া মসজিদ সংস্কারের পাশাপাশি একই ভাবে শৌচাগার, বিশ্রামাগার, জল, আলো ও রাস্তার ব্যবস্থা হবে।
স্কুলে বার্ষিক অনুষ্ঠান। নিবেদিতা বিদ্যানিকেতন-এর বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হল। সোমবার সন্ধ্যায় মালবাজারের কলোনি ময়দানে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য বনপাল অনুপ কুমার সাহা। বিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্র ছাত্রীদের স্কলারশিপও দেওয়া হয়। |