নিজস্ব সংবাদদাতা • দার্জিলিং |
পর্যটক টানতে এ বার গ্রাম-পর্যটন চালু হতে চলেছে দার্জিলিঙে। জিটিএ এবং রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার দার্জিলিং চা-পর্যটন উৎসবের সূচনার দিন মূলত গ্রাম-পর্যটনের উপরেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অ্যাডভেঞ্চার পর্যটন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জিটিএ সূত্রে জানানো হয়েছ। দার্জিলিঙের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে তুলে ধরতেই এই মেলার আয়োজন। সে কারণেই এ দিন মেলা শুরুর দিনে দার্জিলিঙের চিরাচরিত পোষাকে দেখা গিয়েছে স্থানীয় মহিলাদের। উৎসবের শুরুর দিনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেন স্থানীয় শিল্পীরাই। |
চা-পর্যটন উৎসবে অনুষ্ঠান দার্জিলিঙে। মঙ্গলবার ছবি তুলেছেন রবিন রাই। |
ন’দিন ধরে দার্জিলিঙে এই চা-পর্যটন মেলা চলবে। এ দিন মেলার উদ্বোধনে জিটিএ-এর তরফে পর্যটনের একগুচ্ছ প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। জিটিএর পর্যটন বিভাগের নির্বাহী অধিকর্তা বলেন, “পর্যটক টানা যেমন এই মেলার লক্ষ্য, সেই সঙ্গে দার্জিলিঙের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি তুলে ধরাটাও উদ্দেশ্য। তবে যে বিষয়টিকে এবারের সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তা হল গ্রাম-পর্যটন।”
জিটিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে দার্জিলিঙের পর্যটনের সম্ভাবনায় গ্রামগুলিকে চিহ্নিত করা হবে। সেই গ্রামে ইকো-পর্যটনে আগ্রহী বাসিন্দাদের পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করতে বিনা সুদে ঋণ দেবে জিটিএ। মূলত ‘হোম-ট্যুরিজম’ গড়ে তুলতেই ওই উদ্যোগ। সেই সব গ্রামগুলিতে যোগাযোগের পরিকাঠামো জিটিএ তৈরি করে দেবে বলে জানানো হয়েছে। আগ্রহী বাসিন্দাদের বাড়িতে শৌচাগার-সহ অন্য পরিকাঠামো তৈরি করতেও জিটিএ উদ্যোগী হবে বলে মেলায় জানানো হয়েছে।
গ্রাম-পর্যটনের মতোই অ্যাডভেঞ্চার পর্যটনকেও গুরুত্ব দিতে চাইছে জিটিএ। ইতিমধ্যেই দার্জিলিঙে প্যারাগ্লাইডিং, রিভার র্যাফটিং, রোপওয়ের পরিষেবা চালু রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে জোরবং বল, কায়াকিং, বেলুনে ওড়ার মতো অ্যাডভেঞ্চার পর্যটনের সুযোগও পাওয়া যাবে বলে সোনম ভুটিয়া জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “সরকারের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। দার্জিলিঙের তিন মহকুমায় নতুন চারটি জায়গায় রোপওয়ে পরিষেবা চালু হতে চলেছে। দার্জিলিঙের বাতাসিয়া, রক গার্ডেন, কালিম্পঙের ডেলো, কার্শিয়াঙে রোহিণীতে রোপওয়ে পরিষেবা চালু হবে। আগামী বছর জুলাই থেকে পরিষেবা চালু হতে পারে।”
মেলায় পুষ্প প্রর্দশনী, দেহ সৌষ্ঠব প্রর্দশনীর ব্যবস্থাও থাকছে। নেপাল থেকেও শিল্পীরা এসে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে জানানো হয়েছে। |