|
|
|
|
ময়নার বাম পঞ্চায়েতের দখল নিল শাসকদল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
আগামী ৩০ ডিসেম্বর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে সভা করার কথা সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। তার কয়েকদিন আগেই তমলুকের ময়না ব্লকে বামফ্রন্টের দখলে থাকা একমাত্র গ্রাম পঞ্চায়েতটির দখল নিল তৃণমূল। মঙ্গলবার ময়না ব্লকের শ্রীকণ্ঠা পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান সরস্বতী বাইচার, উপপ্রধান মদন ভৌমিক ও দুই পঞ্চায়েত সদস্য মৌসুমি দিণ্ডা, শেখ সৈয়দ আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ১৩ সদস্য বিশিষ্ট পঞ্চায়েতটি হাতছাড়া হয় সিপিএমের। এ দিনই ময়না পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা সিপিএমের মাইনুল মল্লিকও তৃণমূলে যোগ দেন।
শ্রীকণ্ঠা এলাকার রামচন্দ্রপুর রাইসুদ্দিন হাইস্কুলের মাঠে আয়োজিত তৃণমূলের ওই সভায় ছিলেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। প্রায় হাজার পাঁচেক মানুষের জমায়েতে সাংসদ বলেন, “আগামী ৩০ ডিসেম্বর বুদ্ধবাবু তমলুকে আসবেন। তার আগে ময়না ব্লকের এই সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দিয়ে আমাদের উন্নয়ন-যজ্ঞে সামিল হলেন। ময়নার সমস্ত পঞ্চায়েত সিপিএম-মুক্ত হল। এটা বুদ্ধবাবুকে উপহার দিলাম। আগামী ১ জানুয়ারি শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের শান্তিপুর ১ ও ১১ জানুয়ারি হলদিয়ার সুতাহাটায় আরও কয়েকজন সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেবেন। ওই এলাকাও সিপিএম-মুক্ত করব।”
সভায় শুভেন্দু বলেন, “জঙ্গলমহলে শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি উন্নয়নের ব্যাপক কাজ চলছে। অবহেলিত জঙ্গলমহলে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ৫ লক্ষ মানুষকে রেশনকার্ড দেওয়া হয়েছে। ১৫ হাজার ৪০০ ছেলে-মেয়ে পুলিশে চাকরি পেয়েছে।” পাহাড়েও হাসি ফুটেছে দাবি করে সভায় শুভেন্দু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় জ্যোতি বসু ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য জঙ্গলমহল বা পাহাড়ে যেতেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর আড়াই বছরে জঙ্গলমহলে ২৮ বার ও পাহাড়ে ১৭ বার গিয়েছেন। তাঁদের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছেন। ফলে সেখানে এখন শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে।” আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, “রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস হেরেছে। লোকসভা ভোটে কংগ্রেস যাবে। তবে বিজেপি আসতে পারবে না। ক্ষমতায় আসবে ন্যাশনাল ফ্রন্ট। মমতাদি প্রধানমন্ত্রী হবেন, এ কথা বলছি না। কিন্তু ২০১৪’য় দিল্লিতে যে সরকার হবে তার চাবিটা থাকবে নবান্নে, মমতাদির হাতে।” |
|
|
|
|
|