|
|
|
|
রাস্তার জালে জুড়বে জেলা, উদ্বোধনে মমতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নয়নে আরও তৎপর হচ্ছে রাজ্য সরকার। এ ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হচ্ছে নতুন রাস্তা তৈরিতে। গাঁ-গঞ্জের প্রতিটি এলাকা যাতে সুগম হয়, বিশেষ করে খেত থেকে ফসল তোলার ক্ষেত্রে রাস্তা যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে জন্যই এই পরিকল্পনা। পশ্চিম মেদিনীপুরে নতুন ১৪৫০টি রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলার ২৯০টি পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যেকটিতে ৫টি করে রাস্তা হবে। অর্থাৎ সরকারের লক্ষ্য, রাস্তার জালে গোটা জেলাকে জুড়ে ফেলা। সে জন্যই নতুন এই পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফার্ম নেট’। এই রাস্তা তৈরি হবে একশো দিনের প্রকল্পে। ৭ জানুয়ারি এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ তারিখ রাত্রে মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিম মেদিনীপুরে আসছেন। রাতে থাকবেন ঝাড়গ্রামে। পরদিন যাবেন আমলাশোল। সেখানেই আমলাশোল থেকে কাঁকড়াঝোর এই ২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়া, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে হাজির থাকবেন মন্ত্রী, জন-প্রতিনিধি বা প্রশাসনিক কর্তারা। |
|
খারাপ রাস্তা দিয়ে ফসল নিয়ে যাতায়াতের এমন ছবি এ বার বদলাবে। —ফাইল চিত্র। |
‘ফার্ম নেট’-এ প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে যে ৫টি রাস্তা তৈরি হবে তার একটি হবে মোরামের। বাকি চারটি কাঁচা রাস্তা। সর্বত্রই খেত রয়েছে। চাষও হয়। কিন্তু দেখা যায় বিস্তীর্ণ খেতে কোনও রাস্তা নেই। জমির উপর দিয়েই গরুর গাড়িতে বা ট্রাক্টরে ফসল নিয়ে যেতে হয়। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন এলাকাতেই প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তা তৈরি হয়েছে। আরও নতুন রাস্তা তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে। নতুন রাস্তার মাধ্যমে মাঠ বা গ্রামকে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হবে। যাতে সহজেই সকলে মাঠের ফসল নিয়ে যাতায়াত করতে পারেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ২৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেই ৫টি করে রাস্তার পরিকল্পনাও তৈরি হয়ে গিয়েছে। একশো দিনের প্রকল্পের জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রিয়াঞ্জন দাস বলেন, “ফার্ম নেট প্রকল্পের জন্য প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেই রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা তৈরি হয়ে গিয়েছে। রাজ্যেও তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, ৭ জানুয়ারি থেকে আমাদের জেলাতেও এই কাজ শুরু হয়ে যাবে।” এই প্রকল্পে এক লাফে জেলায় অতিরিক্ত ১৪৫০টি রাস্তা তৈরি হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই উন্নত হবে বলেই সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসনিক কর্তাদের অভিমত। বিশেষত, প্রত্যন্ত এলাকাগুলি, যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই পিছিয়ে ছিল, সেই সমস্ত গ্রামগুলি খুবই উপকৃত হবে। |
|
|
|
|
|