|
|
|
|
কেশিয়াড়িতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, জখম ৮ জন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম হলেন ৮ জন। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে কেশিয়াড়ির গগনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণডিহা গ্রামে। কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। মঙ্গলবার সকালে তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর লোকজন নছিপুর -কলাবনী রাস্তা অবরোধ করে।
জানা গিয়েছে, এই লড়াই মূলত পুরনো তৃণমূল ও নব্য তৃণমূলের। গত ১৮ ডিসেম্বর গ্রামের কিছু সিপিএম নেতা -কর্মী কেশিয়াড়ির তৃণমূল ব্লক সভাপতি জগদীশ দাসের কাছে এসে তৃণমূলে যোগ দেন। তার জেরেই সোমবার রাত থেকে সংঘর্ষ বাধে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। কেশিয়াড়ি ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নতুন ঘটনা নয়। ব্লকের তৃণমূল সভাপতি জগদীশ দাস ও জেলা কমিটির সদস্য বিষ্ণুপদ দে -র অনুগামীদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ রয়েছে। গত ১৮ ডিসেম্বর যে সব সিপিএম নেতা -কর্মী দলবদল করেন, তাঁরা জগদীশবাবুর হাত ধরেই তৃণমূলে আসেন। তবে সে কথা বুথ বা গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে না জানানোয় গগনেশ্বর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণুপদবাবুর অনুগামীরা অসন্তুষ্ট ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। |
|
সংঘর্ষের জেরে বাড়ি ভাঙচুর দক্ষিণডিহা গ্রামে। —নিজস্ব চিত্র। |
ব্লক তৃণমূল সভাপতি জগদীশবাবু বলেন, “দীর্ঘদিন সিপিএম করেও বঞ্চিত ওই কর্মীরা আমাদের দলকে শ্রদ্ধা করায় তাঁদের দলে নিয়েছিলাম। কিন্তু এটা আমাদের দলেরই একাংশ মেনে নিতে পারেনি। তারাই হামলা চালিয়েছে। নেতৃত্বকে জানিয়েছি।” বিষ্ণুপদবাবুর বক্তব্য, “পঞ্চায়েতে টেন্ডার ছাড়া কাজ করায় আমরা সিপিএমের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক লড়াই করছিলাম। আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে জগদীশবাবু দলে এলাকার সিপিএম কর্মীদের দলে ঢুকিয়েছেন। ওই কর্মীরাই জগদীশবাবুর প্রশ্রয়ে আমাদের কর্মীদের প্রথমে হামলা করেছে। আমি জেলাস্তরে সব জানিয়েছি।” জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। পুলিশকে দেখতে বলেছি। আমি বিস্তারিত খোঁজ নেব।”
তৃণমমূলের দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সদ্য তৃণমূলে আসা লোকজন সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় তৃণমূল সদস্য সীতারাম সিংহের বাড়িতে বৈঠক করেন। বৈঠক সেরে ফেরার সময় বিষ্ণুপদ গোষ্ঠীর লোকেরা তাদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। দু’পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। জখম হন জগদীশ অনুগামী পূর্ণেন্দু সিংহ ও রণজিৎ সিংহ। বিষ্ণুপদ গোষ্ঠীর শক্তিপদ রাজ, উমাকান্ত দে, মৃত্যুঞ্জয় বেরা ও শঙ্কর হাণ্ডোল জখম হন বলেও খবর। আহতদের কেশিয়াড়ি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই ঘটনার জেরে এ দিন সকালে কয়েকজনের বাড়িতে ভাঙচুর চলে। এ দিন সকালে সংঘর্ষও হয়। অভিযোগ, তাতে তিরবিদ্ধ হন বিষ্ণুপদ গোষ্ঠীর মানস দে, পায়ে বোল্ডারের আঘাত লাগে বাসুদেব বেরার। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জগদীশ গোষ্ঠীর হরি সিংহ নামে একজন তিরবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ থাকলেও তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়নি। ঘটনার জেরে এ দিন পথ অবরোধ করে বিষ্ণুপদ অনুগামীরা। পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। |
|
|
|
|
|