|
|
|
|
ট্রেনে সব্জি বিক্রেতাদের মারধরে জখম ৭, অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় সব্জি-বিক্রেতাদের মারধরে সাত যাত্রীর জখম হওয়ার অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল বদরপুরে। অবরোধ করা হয় রেল লাইন। ঘটনার জেরে দু’জন টিটিই-কে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। দোষীদের খুঁজে বের করার আশ্বাসে ওঠে অবরোধ।
গত কাল শিলচর-লামডিং এক্সপ্রেসের সংরক্ষিত কামরায় কয়েকজন সব্জি বিক্রেতা বস্তা নিয়ে উঠে পড়েছিল। শৌচাগারের সামনে রাখা ওই বস্তার জন্য এক মহিলা যাত্রী সমস্যায় পড়েন। অভিযোগ, এ নিয়ে ক্ষোভ জানালে সব্জি বিক্রেতার তাঁকে গালিগালাজ করে। প্রতিবাদ করেন বদরপুরের কয়েকজন যুবক। চলন্ত ট্রেনেই ওই সব্জি বিক্রেতারা দল বেঁধে তাঁদের মারধর করে। ৭ জন জখম হন। গুরুতর আঘাত পান নিয়াজুদ্দিন ও সফিকুর রহমান। পরের স্টেশনেই অভিযুক্তরা নেমে যায়।
ওই খবর বদরপুরে পৌঁছাতেই স্থানীয় বাসিন্দারা আজ ভোর থেকে রেল লাইনে বসে পড়েন। অবরোধের জেরে প্যাসেঞ্জার ট্রেন ছাড়াও বদরপুর হয়ে ত্রিপুরা ও লামডিং আসা-যাওয়ার সব ক’টি গাড়ি আটকে যায়। অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন রেলের আঞ্চলিক ম্যানেজার এন হরিকুমার। এআইইউডিএফ বিধায়ক আতাউর রহমান মাঝারভুইয়া এবং কংগ্রেস বিধায়ক জামালউদ্দিন রেলকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে বিকেল ৪টে নাগাদ অবরোধ সরিয়ে দেন। বৈঠকে যোগ দেন অসমের সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন মন্ত্রী সিদ্দেক আহমেদ।
ঘটনার সময় ওই ট্রেনে কর্তব্যরত টিটিই দুলাল চন্দ্র রায় এবং রুবেন দাসকে আগেই সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটি তৈরি করে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। রেলকর্তারা জানিয়েছেন, রিপোর্টে কোনও রেলকর্মী বা জিআরপি দোষী সাব্যস্ত হলে, শাস্তি দেওয়া হবে। অভিযুক্ত বিক্রেতাদের খুঁজে বের করতেও পদক্ষেপ করবে রেল।
অবরোধের জেরে শিলচর-লামডিং বরাকভ্যালি এক্সপ্রেসকে কাটাখাল থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। দিনভর বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন আটকে থাকে। |
|
|
|
|
|