|
|
|
|
শীলা-অনুগামীদের বিক্ষোভে অস্বস্তি দলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
২৪ ডিসেম্বর |
কংগ্রেস সমর্থন জানানোর পর কালই দিল্লিতে সরকার গড়ার ঘোষণা করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না, সমর্থন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখাতে নেমে পড়লেন কংগ্রেসের কর্মী-নেতাদের একাংশ। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে আম আদমি পার্টিকে দেওয়া সমর্থন প্রত্যাহার করতে হবে।
কংগ্রেসের এ কোঁদল হাইকম্যান্ডকে তো অস্বস্তিতে ফেলেছেই, একই সঙ্গে অরবিন্দ সরকারের স্থায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিল। এআইসিসি-র নেতারাই মনে করছেন, দলের কিছু নেতা-কর্মীর আচরণ কংগ্রেসের বিশ্বাসযোগ্যতাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দেবে। রাজধানীতে জনপ্রিয়তাও খোয়াতে পারে কংগ্রেস। সনিয়া-রাহুলের নির্দেশে জনার্দন দ্বিবেদী আজ জানিয়েছেন, “সমর্থন দেওয়ার ব্যাপারে দলে দ্বিমত আছে। কিন্তু এক বার যখন সমর্থন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিনা কারণে তা প্রত্যাহারের প্রশ্ন নেই। দিল্লির মানুষ চাইছেন, অরবিন্দ সরকার গড়ে তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করুন।”
দিল্লিতে সরকার গঠনের জন্য আম আদমি পার্টিকে নিঃশর্ত সমর্থন দিতে চেয়ে ১৩ ডিসেম্বর উপ-রাজ্যপালের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক শাকিল অহমেদ। প্রশ্ন হল, কংগ্রেসের যে নেতা-কর্মীরা আজ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তখন তাঁরা চুপ করে ছিলেন কেন? কারণ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলার অনুগামীরাই দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস দফতরের বাইরে ও অন্যত্র বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের ধারণা ছিল, কংগ্রেস সমর্থন জানালেও, শেষমেষ অরবিন্দ সরকার গড়ার পথে হাঁটার ঝুঁকি নেবেন না। আপ সরকার গড়তে এগোতেই তাঁরা ভয় পেয়েছেন, এ বার শীলা জমানার সব দুর্নীতির ফাইল খোলা হবে। শীলা অনুগামীদের ভবিষ্যৎ সঙ্কটে পড়বে। ক’দিন আগেই রাহুল গাঁধী জানান, দুর্নীতিপরায়ণ নেতাদের ভোটে প্রার্থী করা বা দলের পদ দেওয়া উচিত হবে না।
সূত্রে খবর, দুর্নীতি-তদন্ত নিয়ে শীলা খুব একটা চিন্তিত বলে মনে হচ্ছে না। এমনও হতে পারে, দিল্লির রাজনীতিতে তাঁর ১৫ বছরের একচ্ছত্র আধিপত্য যে শেষ হয়নি, তা সমঝে দিতে চাইছেন তিনি। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, দিল্লিতে শীলা-বিরোধী নেতা অজয় মাকেনকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিয়োগ করা হয়নি ঠিকই, কিন্তু নয়া সভাপতি অরবিন্দ সিংহও শীলা-অনুগামী নন। সেই জন্যই হয়তো অনুগামীদের দিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন শীলা।
এটা ঠিকই যে সমর্থন প্রত্যাহার চেয়ে কংগ্রেসের যে নেতারা এখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের সফল হওয়ার সম্ভবনা কম। কারণ, এখনই সমর্থন প্রত্যাহার না করার বিষয়ে রাহুল অনড়। কিন্তু ভবিষ্যতে সমর্থন প্রত্যাহারের ক্ষেত্র প্রস্তুত হলে তার নেতৃত্ব কে দেবেন, তা নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যে জোর টানাটানি হবে, দেওয়ালের সেই লিখন আজ তা স্পষ্ট হয়ে গেল। |
|
|
|
|
|